অর্থ তছরুপ ও সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁদপুরের মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। গতকাল বুধবার বিকেলে তাহার নিজ অফিসে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে একটি জাতীয় ও কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় অর্থ তছরুপ ও সিন্ডিকেট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমার সম্মান ও মর্যাদায় আঘাত হেনেছে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমি নিজে চেষ্টা করে অত্র কলেজে এসেছি যাতে এলাকার সন্তান হিসেবে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটিয়ে এলাকার সেবা দিতে পারি। আমি কলেজে কিছু অসম্পূর্ণ মেরামত বা সংস্কার কাজ করি। যার ফলে ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ পেয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী উপকৃত হয়।
উল্লেখ্য যে, সংস্কার কাজ কর্মে মোট আয়ের ৫% এর বেশি ব্যায় হয়নি এবং এই ব্যয় পিপিআর ২০০৭ অনুসরণ করেই করা হয়। আমি এ কলেজে আসার আগে ০৩ সদস্যের একটি মাত্র কমিটি কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। আমি এসে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণ করার লক্ষ্যে ০৭ টি কমিটি গঠন করি। এতে অধিক সংখ্যক শিক্ষক কলেজের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। কাজেই আমার বিরুদ্ধে আনা “সিন্ডিকেট” শব্দটি আপত্তিকর ও অবান্তর।
আরো উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সকল কার্যক্রম কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আমি নিজের নামে প্রথমেই কোন চেক ইস্যু করি নাই। কমিটির সদস্যদের নামেই আমার এবং ইউএনও মহোদয়ের যৌথ স্বাক্ষরে চেক ইস্যু করা হয়। এখানে অর্থ তসরুপের কোন সুযোগ নেই। আমি যখন শিক্ষার মানোন্নয়নসহ সংস্কারমূলক ও অসম্পূর্ণ কিছু কাজ শুরু করি তখনই খুব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করে চলছে। আমি এর তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।
পরিশেষে, এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে মন গড়া কোন কথা না বলা ও না লিখার জন্য আপনাদেরসহ সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে মতলব প্রেসক্লাবের সভাপতি রুকনুজ্জামান রোকন, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন দেওয়ান, গোলাম সারোয়ার সেলিম সহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।