আমতলী পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের ৪টি বাসায় শনিবার গভীর রাতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরের দল বাসার তালা ও গ্রীল কেঁটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে।
ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার গভীর রাতে কোন এক সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল আমতলী পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের মাজার রোডের পানির ট্যাংকি সংলগ্ন আব্বাস মৃধার ভাড়াটিয়া বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাসায় কোন লোকজন ছিল না। ঈদে গ্রামের বাড়ী উপজেলার গাজীপুরে ছিলেন। তার বাসা থেকে স্বর্নালংকার ও জামা কাপড় নিয়ে গেছে। উপজেলার একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার হাবিবুর রহমানের বাসায় জানালার গ্রীল কেঁটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় চোরেরা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে। একই এলাকার ঝীলের পার মসজিদের পূর্বপাশের বাসিন্ধা তহসিন মোল্লার ভাড়াটিয়া ঔষধ ব্যবসায়ী আঃ মন্নান মিয়ার বাসায় গ্রীল কেঁটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাসায় কেহ ছিল না। মন্নান তার পরিবার পরিজন নিয়ে বড় বিঘাই শ্বশুরবাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তার বাসা থেকে স্বর্নালংকার ও জামা কাপড় নিয়ে গেছে। মাদানীনগর মাদ্রাসা রোডের বাসিন্ধা সাবেক আর্মির সৈনিক হারুন অর রশিদের বাসার গ্রীল কেঁটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। চোরের উপস্থিতি টের পায় বাসার লোকজন। তারা ডাক চিৎিকার দিলে চোর পালিয়ে যায়। তার বাসা থেকে তেমন কিছু নিতে পারেনি।
একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, চোরের দল আমার বাসার জানালার গ্রীল কেঁটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।
ঔষধ ব্যবসায়ী আঃ মন্নান মিয়া বলেন, ঘটনার রাতে আমি আমার পরিবার নিয়ে শ্বশুর বাড়ী বেড়াতে গিয়েছিলঅম। এ সুযোগে আমার বাসায় গ্রীল কেঁটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় চোরেরা আমার বাসা থেকে স্বর্নালংকার ও জামা কাপড় নিয়ে গেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, চুরির ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। তিনি আরও বলেন, সংঙ্গবদ্ধ এ চোর চক্রকে গ্রেফতারের জন্য ও চুরি রোধে রাতে পৌর শহরের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা টহল বাড়ানো হয়েছে।