৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
চাঁদপুরে চার আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল বকশীগঞ্জে ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস... মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষকদের সাথে আওয়ামী লীগ প্রার্থী... আজ মতলব মুক্ত দিবস, শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে... বরগুনায় ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

কাঁচা মরিচ না খেয়েও এর পুষ্টিগুণ পাবে মানব শরীর

 জান্নাতুল ফেরদৌস/রাবি সমকালনিউজ২৪

হলুদের গুড়া, শুকনা মরিচের গুড়া হয় এটা সবার জানা। কিন্তু কাঁচা মরিচেরও যে গুড়া হয় সেটা নিশ্চয় অনেকের জানা নেই। বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় রান্নার কাজে অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাঁচা মরিচ।

যেকোন ধরনের তরকারি, সালাদ কিংবা অন্য কোন খাদ্যে কাঁচা মরিচ অপরিহার্য একটি উপাদান। নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল হওয়ায় পণ্যটি হামেশাই বাজার বা দোকান থেকে কিনতে হয় সবাইকে। মানুষ এখন যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত। বাজার থেকে কাঁচা মরিচ কিনে রান্না পর্যন্ত প্রক্রিয়াটা অনেকেই ঝামেলা মনে করেন।

এসব বিবেচনা থেকেই শুরু হয় গবেষণা। প্রায় দুই বছর গবেষণা শেষে কাঁচা মরিচের গুড়া উদ্ভাবন করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মনজুর হোসেন। উদ্ভাবিত এই গুড়া কাঁচা মরিচের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে কাঁচা মরিচ না খেয়েও এর পুরো পুষ্টিগুণ পাবে মানব শরীর। কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই এই গুড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে গ্রিন চিলি পাউডার। এই পাউডারের রঙ কাঁচা মরিচের রঙের মতই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে ও জাপানি অধ্যাপক মিস্টার কিনজি টিসুজি তত্ত্বাবধানে দুই বছর আগে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। রাজশাহীর কাটাখালী এলাকার ক্যান্সার হাসপাতাল সংলগ্ন আলো আশার স্কুলে চলে এই গবেষণা। তাদের এই গবেষণায় সঙ্গে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান। কোন ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার না করায় গুড়ার রঙ, গন্ধ, স্বাদেরও কোন পরিবর্তন হয়নি। আর এটা মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকর নয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ। তরকারি রান্নার সময় অন্যান্য গুড়ার মতো নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিটিয়ে দিলেই কাজ শেষ। নেই কাটাকাটির ঝামেলা।

উদ্ভাবিত এ গুড়ায় ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান। গবেষকদের একটি টিম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্ভে করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন। এ গুড়াকে বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করা গেলে দেশের জিডিপিতেও ভালো অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।

ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বলেন, আমার জানা মতে বিশ্বে এই প্রথম আমরাই এ গুড়া উদ্ভাবন করেছি। এটি নিশ্চয় আমাদের জন্য আনন্দের। বাণিজ্যিকভাবে এ গুড়া ছড়িয়ে দেওয়া গেলে আমরা যেমন লাভবান হবো তেমনি দেশের রপ্তানিতে এটি ভালো অবদান রাখবে। বিশেষ করে এ মরিচের গুড়াকে কেন্দ্র করে যদি কোন কোম্পানি বা নতুন মার্কেট গড়ে উঠে তাহলে অনেক গরিব মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।

অধ্যাপক মনজুর হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, শুকনা মরিচের গুড়া খেলে অনেকের আলসারের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুকনা মরিচের গুড়ায় তেমন কোন পুষ্টিগুণ থাকে না; যেটা কাঁচা মরিচের গুড়ায় থাকে। কাঁচা মরিচকে আমরা ডি হাইড্রেশন করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এ গুড়াটা তৈরি করি। কাঁচা মরিচের গুড়া সারা বিশ্বে ব্যাপক ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় মশলা। এটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি-৬’ রয়েছে। উপরন্ত এর উচ্চশক্তির ক্যাপসাইসিন মেদ কমায় এবং কোলেস্টরল বৃদ্ধি কমিয়ে হৃৎপি-কে সুরক্ষা করে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
রাজশাহী বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে