অভিনব পদ্ধতিতে পাচার করা হচ্ছে ইয়াবা। মাদক পাচারের কৌশলের শেষ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো মাদক পাচার প্রতিরোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও পাচারকারীরাও থেমে নেই। তারা নানা কৌশলে মাদক পাচার ও বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।
৬ ফেব্রয়ারী বুধবার রাত ৭টা ১৫ মিনিটের সময় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে আটক হলেন সন্দেহভাজন এক কিশোর। দেখতে যার বয়স কম মনে হয়।
আটক কিশোরের নাম মো. কামাল হোসেন। যার আনুমানিক যার বয়স ১৯/২০ বছর। সে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সেন্টমার্টিন পশ্চিম পাড়ার জব্বার মুল্লুকের ছেলে বলে জানান।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. আলমগীর।
অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়া কর্ণফুলী থানার উপ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম সন্দেহ দূরীভুত করতে আটক কিশোরের দেহ তল্লাশি করেও কিছু না পেয়ে হতাশ হতে চলেছেন।
এক পযার্য়ে ফিরে আসার সময় চৌকস এই পুৃলিশ কর্মকর্তার অনুসন্ধানী চোখ পড়ে কিশোরের পায়ে থাকা লাল রংয়ের প্লাস্টিকের জুতার উপর। শুরু করেন চিঁরুনী তল্লাশী জেরার মুখে স্বীকার করতে বাধ্য হয় জুতার ভিতরে রয়েছে ইয়াবা।
পরে আটককৃত কিশোরই নিজ হাতে দুপায়ের জুতা খেটে বের করে দিলেন ৩০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। যা অভিনব পদ্ধতিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন পায়ে পরা লাল জুতায়।
নিত্য নতুন ও ঝুঁকিপ‚র্ণ কৌশল দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। গত কয়েকদিনে কর্ণফুলীতে সাপুড়ে, মসজিদের ইমাম, কোরআনে হাফেজ, বৃদ্ধ পুরুষ, দুগ্ধজাত কোলে শিশুর মা। এবার ধরা পড়ল পায়ের জুতায় ইয়াবা। নানা কায়দায় বিভিন্ন মাদক পাচার করে আসছে মাদক পাচারকারীরা।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স‚ত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। প্রায় প্রতিদিনই মইজ্জ্যারটেকে কক্সবাজার টেকনাফ থেকে আসা বাহকদের অদ্ভুত কৌশলে বিস্মিত সংশ্লিষ্টরা। এবার নিজ পায়ের স্যান্ডেলের ভেতরে ইয়াবা।
আটক কিশোর কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হচ্ছে বলে জানা যায়।