বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ ও ভারত উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে।
চাঁদপুর জেলায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে চাঁদপুরের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা রাত্রে আশ্রয় কেন্দ্রে না গেলেও আজ শনিবার আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন।
সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে চাঁদপুর জেলার সর্বত্র গতকাল শুক্রবার হতে শনিবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এবং উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বৈইছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর ও আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সে সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিম্বাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
চাঁদপুর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং বলগেট, ড্রেজার ইত্যাদি ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইকিং করে দূর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য বলা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রত্যেকের প্রস্তুত থাকতে হবে। সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং যারা ছুটিতে তাদেরকে ছুটি বাতিল করে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫৮টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য ১৮৪ মেট্রিক টন চাল, নগদ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৭৩৬ ব্যান্ডেল টিন এবং প্রতি ব্যান্ডেলের জন্য ৩ হাজার টাকা করে মজুদ রাখা হয়েছে।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’