চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামে জাহেদা আক্তার মিশু (২০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করেছে এক বখাটে।
গত সোমবার ২৯ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক বখাটে সুজন খান পলাতক রয়েছে। সুজনকে আটক করতে পুলিশ জোরদার অভিযান চালাচ্ছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, নিহত জাহেদা আক্তার মিশু চরমগুয়া এলাকার সেকান্তর মেম্বার বাড়ির মৃত সেলিম বেপারীর (সাদ্দাম) মেয়ে। প্রায় বছর দেড়েক আগে সন্তোষপুর গ্রামের প্রবাসী সোহেলের সাথে মিশুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী প্রবাসে থাকায় মিশু বাবার বাড়িতে থাকতো।
বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় পাশের বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে বখাটে সুজন খান (২৮) মিশুকে তার বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্যে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো। কিন্তু মিশু রাজি না হওয়ায় সোমবার ভোরে সুজন খান ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিশুকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় মিশুর আর্ত-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কত্যর্বরত চিকিৎসক মিশুকে ঢাকায় রেফার করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দাউদকান্দি এলাকায় পৌঁছালে মিশুর মত্যু হয়। পরে মিশুর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রকিব বলেন, গৃহবধূ মিশুকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঘাতক সুজন পলাতক রয়েছে। ঘাতক সুজনের ছোট ভাই সোহেব খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে। ঘাতক সুজনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।