জিএম মিজান,বগুড়া ::
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন ঘোষনা করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, ঘোষনার পর থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়।
করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত একজন সেবিকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে দেখাশোনা করার জন্য আসা রোগীর স্ত্রীর শরীরেও করোনার ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশনে কমর্রত সেবিকা এবং জেলার আদমদীঘি থেকে আসা রোগীর স্ত্রী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম এ প্রতিদেক-কে বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল বগুড়ার ১০২টি, জয়পুরহাট থেকে আসা ৮৫টি এবং সিরাজগঞ্জ থেকে আসা একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের একজন সেবিকা এবং সেখানে করোনা রোগীর সাথে আসা তার স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ শফিক আমিন (কাজল) এ প্রতিবেদক-কে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া সেবিকা গত ২৬ এপ্রিল থেকে কর্মস্থলের পাশ্বেই হোমকোয়ারেন্টাইনে ছিলেন বর্তমানে সে হাসপাতলের আইসোলেশনে ভর্তি আছে তার অবস্থা এখন ভালো । আদমদীঘি থেকে আসা রোগীর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ৯ জনের করোনা পজিটিভ। বাকি ২জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।