বরগুনায় স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ ও তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে শিশুটির সার্বিক বিষয় দেখভালে একজন সমাজ সেবা অফিসার নিয়োগের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয়।
আদেশে বরগুনার ডিসি এবং এসপিকে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার আছিয়ার বড় বোনকে নিরাপত্তা দিতে একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ৪ মার্চ বরগুনায় সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীকে সিজিত রায় নামের এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে ধর্ষণ করে একদিন পরে একটি পার্কে ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। পরেরদিন স্থানীয় লোকজন দুজনকে ধরে পুলিশে দেন। কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে শাসাতে থাকে আসামিপক্ষ।
এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির পাশের ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবেই বাদীকে হত্যা করা হয়েছে।