বরগুনায় এক নারীকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে ওই নারীর মা। মামলার কথা জানতে পেরে বাদীর কন্যাকে অপহরণকারীরা ফেরত না দিয়া মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ও মুক্তিপন দাবি করে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে দেয়া মামলা তুলে না নিলে গৃহবধূকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ঃ০০ টায় বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব বরগুনায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন গৃহবধূর মা ও তার স্বজনরা। বর্তমানে বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তিনি তার কন্যাকে উদ্ধার এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ সকাল দশটায় তালতলী উপজেলার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে, গৃহবধূর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে মোটরসাইকেলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকৃত গৃহবধূ নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের, নিজাম হাওলাদার এর কন্যা।
অভিযুক্তরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার, এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ,ছোনবুনিয়া গ্রামের আল আমিনের ছেলে জাকারিয়া , নলটোনা ইউনিয়নের, গর্জন বুনিয়া (শিয়ালিয়া) গ্রামের মৃত মনসুর আলী আকন এর ছেলে ফোরকান তিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল মতিঝিল শাখার ২৪/বি আউটার সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা ১২১৭ ,১নং ভবনে, মার্কেটিং শাখায়। একই ইউনিয়নের, পালের বালিয়াতলী গ্রামের মৃত ইউসুফ মোল্লার ছেলে আব্বাস মোল্লা, ছোনবুনিয়া গ্রামের বাবুল মুসল্লির ছেলে আল-আমিন, ও আল আমিনের স্ত্রী নাজমা ওরফে তাসলিমা, বাদী গৃহবধূর মা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন আমার মেয়ে অভিযুক্তরা অপহরন করিয়া বিদেশে পাচার করিয়া দিবে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার দিয়ে অপহরণকারীরা আমার নিকট তিন লক্ষ্য টাকা মুক্তিপন দাবী করে , মেয়েকে জীবিত পাইতে হইলে টাকা নিয়া ঢাকায় চলিয়া আসো। আমি একই দিন বিকাল পাঁচটায় আমতলী হইতে ঢাকায় গিয়া যোগাযোগ করিলে তখন অভিযুক্ত ফোরকান আসামীর হাল ঠিকানায় যেতে বলিলে আমি তার মতিঝিল আউটার সার্কুলার রোড গেলে বাসার মধ্যে আমার, কন্যাকে বাধা অবস্থায় দেখিতে পাই। কথা বলতে চাইলে সন্ত্রাসীরা কথা বলিতে দেয় নাই। তখন বলে টাকা না দিলে মেয়েকে জীবিত অবস্থায় পাবি না। আমার মেয়ে ওদের নিকট নির্যাতিত ও মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। দৃঢ় বিশ্বাস যে, অভিযুক্ত জাকারিয়া, ফোরকান, আব্বাস মোল্লা,আমার মেয়েকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করিয়া এবং বিদেশে পাচার করিয়া দিতে পারে। খুন করে লাশ গুম করতে পারে।
তালতলী থানার (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান জানান, এ বিষয় মামলা হয়েছে, ভিকটিম উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।