
এম.মজিবুল হক কিসলু,বরগুনা ::
বরগুনায় ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা জেলা ও দায়রা জজ আদলত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চালু হওয়ায় বিচার প্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বুধবার অনলাইনে জামিনের আবেদন নিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে এম জাহিদ হাসান। বুধবারে ইমেইলে পাঠানো আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়রা জজ ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সময় নির্ধারণ করেন।
নির্ধারিত সময়ে কোর্টে থেকে মাইক্রোসফট্ টিম অ্যাপসের মাধ্যমে মা’মলার নিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. জাহিদ হাসান। এ সময় জেলা জজের সঙ্গে রাষ্ট পক্ষে যুক্ত ছিলেন পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার ও দুদকের পিপি কামরুল আহসান মহারাজ। আসামী পক্ষে যুক্ত ছিলেন আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম। দায়রা জজ দুদকের একটি মা’মলায় আসামী আলাউদ্দিন পল্টুর জামিন না মঞ্জুর করেন। অপর একটি মা’মলায় আসামী সহিদকে জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে নতুন নিয়মে কোর্টের ঝটিলতা নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রথমে হতাশা প্রকাশ করলেও কোর্ট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা জজ হাতে কলমে সব নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দেয়ায় সিনিয়র আইনজীবীরাও ভার্চুয়াল কোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমি তো ভাল করে টাচ্ মোবাইলই চালাতে পারি না। ভার্চুয়াল কোর্ট মনে করেছি কঠিন কিছু। আমাকে শেখায়ে দেয়ার পর মনে হলো খুব সহজ।
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আমি ভাল করে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্মন্ধে জানতাম না। আমার জুনিয়র অ্যাডভোকেট সাইমুন রাব্বি আমাকে শেখায়ে দেয়ার পর দুটো মা’মলা শুনানী করলাম। একটি মা’মলায় জজ কোর্ট থেকে জামিন পেলাম। অন্যটায় না মঞ্জুর হয়েছে। তিনি বলেন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটও শুনানী হয়েছে। তিনিও জামিন দিয়েছেন।