২৫ বছর পর সবার সঙ্গে দেখা হলো। অনভূতি একটু অন্যরকম। আগে একজনের সঙ্গে অপরজনের গলাগলি, হাসাহাসি-কতই না মধুর স্মৃতি। ২৫ বছর পর যখন দেখা হলো, সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান। ওই বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান। তাতে কি? চিরচেনা স্কুল মাঠে বন্ধুকে পেয়ে চিৎকার করলাম, ‘দোস্ত কতদিন দেখা হয় না। আয় আগে বুকের সঙ্গে বুক মিলিয়ে প্রাণটা জুড়িয়ে নিই।’ বুধবার বরগুনা জিলা স্কুলসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল -৯৪ ব্যাচের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এভাবেই সবাই মেতে ওঠে। স্কুলের সেই ছোট্ট পরিসর থেকে আজ মহীরূপে পরিণত হয়েছে। এই স্কুলে সৃষ্টি করেছে অনেক কৃর্তিমানের। যাঁরা দেশে-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। সব মিলে এই অঞ্চলের এক বৃহৎ ও স্বমানধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে এই স্কুল ।
বরগুনা জেলার ১৯৯৪ সালের এসএসসি ব্যাচের ১২২ জন সাবেক শিক্ষার্থীর সপরিবারে মিলন মেলা বসে স্টেডিয়াম মাঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক শিক্ষার্থী ও তাদের অংশগ্রহণে র্যালি বের হয়। পড়ে গুরুপ ছবি ক্লিক।
রজত জয়ন্তী উদযাপনের সকলের তত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা হয় । সার্বিক সহযোগিতা করেন মশিউর রহমান রুমন,জাহিদুল ইসলাম জুয়েল , মহসীন খান, জসিম চৌধুরী, মাহমুদুর রহমাাা মামুন, তালুকদার আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।সর্বমোট ১২২জন অংশগ্রহণ করেন। এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে অংশ নিতে ঢাকা বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মব্যস্ততার মাঝে উপস্থিত হন বন্ধুরা।
অনুষ্ঠান সময়সূচির মধ্যে ছিল সকাল ০৮ ঘটিকায় সকালের নাস্তা,সকাল ১০ ঘটিকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় বন্ধুদের পরিচয় পর্ব দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় বন্ধুদের নামাজ ও মিলাদ, দুপুর দুইটায় দুপুরের খাবার, বিকাল ০৪ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন অতিথি পর্ব বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় আমন্ত্রিত অথিতি শুভেচ্ছা বক্তব্য,বিকাল ০৫ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কেক কাটা, রাত ০৮ ঘটিকায় রাতের খাবার ও রাত ১২ টা ০১ মিনিটে বন্ধু ৯৪ সৌজন্যের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ (বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স)। স্টেডিয়াম মাঠে দিন ব্যাপি বন্ধু ১৯৯৪ শিক্ষার্থীদের সন্তানদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মধ্য দিয়ে বুধবার (১৪ আগষ্ট) রাতে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।