১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
চাঁদপুরে ৭৭ কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৪ হাজার... বরগুনায় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর... ইসরায়েলে ধংসযজ্ঞের প্রতিবাদে চাঁদপুরে আহলে সুন্নাতুল... ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত সুন্দরবনে ১১০ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের ২৭০ কিমি আরাকান আর্মির দখলে

 আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সমকালনিউজ২৪

বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা পুরোপুরি দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রোববার (৮ ডিসেম্বর) মংডু শহর দখলের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর ইরাবতী নিউজের

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের এই সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মংডু শহর দখল করে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা জান্তার শেষ অবশিষ্ট সীমান্ত ঘাঁটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ বেশ কয়েক মাস লড়াইয়ের পর রোববার সকালে দখল করেছে।

এর আগে, রোববার আরাকান আর্মি জানায়, ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর সরকার এবং সহযোগী রোহিঙ্গা মিলিশিয়াদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

রাখাইনের মিডিয়া সোমবার জানিয়েছে, মংডুর এই যুদ্ধের পরে প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ সরকারি সৈন্যদের পাশাপাশি সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেপ্তার করেছে আরাকান আর্মি। মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে তারা। আর সীমান্তবর্তী এই শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে ছয় মাস সময় লাগল গোষ্ঠীটির।

ইরাবতীর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মি এখন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করছে।

এগুলো হচ্ছে – রাখাইন প্রদেশের মংডু ও বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া। পালেতোয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্তও রয়েছে। আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের গয়া, তাউনগুপ এবং আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই করছে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে