ঢাকা: নিরাপত্তার ‘স্বার্থে’ রাজধানীর বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহে পুলিশের উদ্যোগ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে ১৩ মার্চ আদেশ দেবে আদালত।
ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য বাড়ি মালিকদের মাধ্যমে সংগ্রহ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ৩ মার্চ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, যা মঙ্গলবার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আবেদনকারী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজে শুনানিতে অংশ নেন। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসানাত কাইয়ূম ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ব্যারিস্টার বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, “শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।”
এর আগে ওই তথ্যের অপব্যবহারের শঙ্কা প্রকাশ করে ১ মার্চ উকিল নোটিস পাঠানোর ২৪ ঘণ্টায়ও কোনো জবাব না পেয়ে ৩ মার্চ রিট আবেদনটি করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ঢাকার বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ শুরু করে ডিএমপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ২৮৭টি বিট তৈরি করে প্রতিটিতে একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়।
এই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের আইনগত কী ভিত্তি আছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন এই আইনজীবী।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারের বরাবরে রেজিস্ট্রার ডাকযোগে ওই নোটিস পাঠনো হয়। নোটিসেনর জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী উকিল নোটিস পাঠানোর পর সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার বলেছিলেন, তিনি নোটিসকারীর যুক্তি দেখেননি, তবে যা করছেন, তা জননিরাপত্তার ‘স্বার্থে’।
এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার মতো কোনো আইনি সুযোগ নেই দাবি করে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধে রিট আবেদনটি করেন বলে জানান জ্যোতির্ময়।
তথ্য সংগ্রহনের এই কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই রুল চেয়েছেন তিনি।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারকে।
রিট দায়েরর পর জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “তথ্য সংগ্রহ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইন হয়, সে সময় পর্যন্ত ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা তথ্য কোনো কাজে ব্যবহার না করা ও সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।”