অনলাইন প্রতিবেদকঃ শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র ফাঁদ পেতে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চক্রটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা চাইছে। জাতীয়করণের তালিকায় নাম ওঠানোর ভুয়া আশ্বাসেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সহজ সরল শিক্ষকদের কাছ থেকে। এ জন্য তারা নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে ফোন বা মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ করতে বলছে। আবার জেলায় জেলায় দালালও নিয়োগ দেওয়া রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এই চক্রের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির চারজন জড়িত। মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেসব আবেদন জমা দেয়, সেগুলোর কথা উল্লেখ করেই চক্রটি ওই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কয়েক দিন আগে কাউসার নামে এক ব্যক্তি শিক্ষাসচিবের দপ্তরের পরিচয় দিয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা এম বাজার নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় উন্নয়নকাজের বিষয়ে ওই মাদ্রাসার করা আবেদনের কথা উল্লেখ করে খুদে বার্তা পাঠায়।জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কাউকে কোনো কাজের জন্য যোগাযোগ করতে বলেননি। তাঁর নাম ব্যবহার করে কেউ যদি এ রকম কিছু করে থাকে, তাহলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের জন্য কাউকে টাকা না দিতেও পরামর্শ দেন তিনি।
জাতীয়করণে মন্ত্রণালয়ের কোনও পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তার হাতেই কিছু না থাকলেও স্কুল-কলেজ জাতীয়করণের জন্য কয়েককোটি টাকা টাউট বাটপারের পকেটে চলে গেছে। চক্রটি কখনও অতিরিক্ত সচিবের নামে কখনও সচিবের নামে টাকা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি স্কুল সরকারিকরণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। ওই স্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিক হাফিজুরকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গিয়েছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফের মন্ত্রণালয়ের ও শিক্ষা অধিদপ্তরে না যাওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই প্রধানশিক্ষককে।
এছাড়াও পঞ্চগড়, তেতুলিয়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার কলেজ ও মডেল স্কুল শিক্ষকরা জাতীয়করণের নামে দালালদের হাতে কোটি কোটি টাকা তুলে ধরা খেয়ে নি:স্ব হয়েছেন। যারা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও মন্ত্রী-সচিবের কাছের লোক পরিচয়ে টাকা নিয়েছেন তারা আদৌ মন্ত্রণালয়ে চাকরিই করেন না বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।