রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক আকাউন্টে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, চট্টগ্রাম থেকে গতকাল রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম। পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পেছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে !
তিনি লেখেন, এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত ? কয়জন হাসনাত মারবেন ? মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা ? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে মরদহে বানিয়েছেন তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে ! কিন্তু পিছু হটেনি।
সারজিস লেখেন, ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত। এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না। এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয়; আমরা মরতে শিখে গিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুর্ঘটনার শিকার হয় তার গাড়ি। মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় হাসনাতের গাড়ি। মাতুয়াইলে আঘাত করে পালিয়ে যায় একটি ট্রাক। গুলিস্তানে আঘাত করে একটি মিনি ট্রাক। এসব দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক মজিবুর রহমান (৪০) ও হেলপার তার ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৮) আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।