বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নরমাল স্যালাইন ও প্লাটিলেট কাউন্ট রিয়াজেন্ট হাসপাতালসহ ঔষধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বছরের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধপত্রাদি রোগীদের মাঝে সরবরাহ করায় তা ২-৩ মাসের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঔষধ সরবরাহ না থাকায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীরা চরম অনিশ্চয়তার ভিতরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, বর্তমানে সর্বত্র ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, এখন কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। জ্বরে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এখনো ১১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৮, মহিলা ৪৪ জন।
পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। হাসপাতালে ৫৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১১ জন। আড়াইশ’ শয্যার এই হাসপাতালে নেই রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় আন্ত:বিভাগ ও বহি:বিভাগে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের জন্য নতুন ভবন নির্মিত হলেও রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ষাটটি শয্যা বরাদ্দ থাকলেও সেখানে ১১২ জন রোগী রয়েছে। অধিকাংশ রোগী ফ্লোরে বিছানা বিছিয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ লোকমান হাকিম বলেন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বছরের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধপত্রাদি রোগীদের মাঝে সরবরাহ করায় তা ২-৩ মাসের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঔষধ সরবরাহ না থাকায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের ঔষধ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।