
২০০৫ সালে আইনের অধীনে এনটিআরসিএ গঠিত হলেও তাদের ব্যর্থতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। এনটিআরসিএ সর্বদাই নিবন্ধনধারীদেরকে নিয়ে খেলা করছে। একেক সময় একেক বিধিমালা করে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে নিবন্ধনধারীদেরকে। সর্বশেষ এমপিও নীতিমালায় ৩৫+ নিবন্ধনধারীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক নিবন্ধনধারীদের চাকরি প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
এ রকম অনিয়মের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে নিবন্ধিত শিক্ষকদের অধিকার আদায় কমিটির আহ্বায়ক ও সমন্বয়কারী জনাব এস এম আমজাদ হোসেন। জনাব এস এম আমজাদ হোসেনসহ ৭২ জন একটি রিট দাখিল করেন। রিটটি দীর্ঘ শুনানির পর পিটিশনারদের নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে আজ মহামান্য হাইকোর্ট রিটটির রুলজারি করেন।
রুলটির শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন ব্যারিষ্টার সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও এডভোকেট খন্দকার শারমিন সুলতানা।
মাননীয় বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মাননীয় বিচারপতি রাজিক আল জলিল এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলে বলেন- পিটিশনারদের কেন নিয়োগ দেয়া হবে না? পিটিশনারদের বয়স লিমিট করা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না? এবং জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে পিটিশনারদের কেন নিয়োগ দেয়া হবে না? এই মর্মে চার সপ্তাহের রুলজারি করেন।
উক্ত রুলের ফলে রিটের সদস্যদের আর বয়সের ঝামেলা থাকছে না বলে আইনজীবীদের দাবি।
এ বিষয়ে এস এম আমজাদ হোসেন বলেন, মহামান্য বিচারপতি নিয়োগের উপর স্টে দিতে সম্মত হলেও আমারা নিয়োগ স্টে চাইনি। কারণ সার্কোলারের আগে নিয়োগের উপর স্টে করাটা ঠিক হবে বলে মনে করেননি ব্যারিষ্টার সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন স্যার ও এডভোকেট খন্দকার শারমিন সুলতানা। তবে আগামী সার্কোলারে যদি ৩৫+ দের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে অবশ্যই নিয়োগ স্থগিতের জন্য পিটিশন দাখিল করা হবে।।