২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

অবাধে নদী-খাল থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন চলছে; আইন কি প্রভাবশালীদের পক্ষে ?

 এম কিউ হোসাইন বুলবুল সমকালনিউজ২৪

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার একাধিক জায়গায় নদী,খাল এমনকি পাকা রাস্তার পাশের খাদে-ডোবায়, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারছে বালু উঠিয়ে ঠিকাদাররা রাস্তাভরাট করছে। অন্যদিকে সাধারন মানুষও থেমে নেই। নিজেদের বসতবাড়ি নির্মান করতে নীচু জায়গা ভরাট করছে আবার রাস্তার পাশের নীচু জায়গা ভরাটকরে মার্কেট তৈরীর কাজও চলছে। নিয়ম-আইন এসব পকেটে রেখেই উন্নয়নের কাজ চলছে। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদের ছেলেরা, মেম্বার সাহেবরা ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজস করে নানাবিধ ফয়দা লুটছে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন বলছে, মাটির গভীরে কার্টার পুশকরে বালু উত্তোলনকরা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।

উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদীর বিভিন্ন অংশে ইতিপূর্বে রাস্তায় বালি ভরাটের নাম নিয়ে সংশ্লিষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্র-ছায়ায় থেকে। সে কাজ অব্যাহত ধারায় এখনও চলছে। যদুনন্দী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির ছেলে যুবলীগ নেতা “লিপন” স্থানীয় লুৎফার নামের একজনকে মালিক সাজিয়ে এলাকায় অবিরামভাবে নদীথেকে বালি উত্তোলন করে ব্যক্তির জায়গা থেকে শুরুকরে ঠিকাদারদের প্রয়োজনীয়তাও মিটাচ্ছে। শুধু তাইনয় নির্দ্ধারিত জায়গায় বালি ভরাটকরে বছরভরে বিক্রি করে আসছে। নবকাম পল্লী কলেজের সামনের একটি মার্কেটও বালি ভরাট চলছে।

এদিকে সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজার সংলগ্ন একটি ব্রীজে যত বালির প্রয়োজন ছিলো সব পাইপ বসিয়ে কুমার নদী থেকে উত্তোলনকরে সাপ্লাই দিয়েছে রব চেয়ারম্যানের ভাতিজা “মানোয়ার”। সোনাপুরের যোগাড়দিয়া এলাকায় পাকা রাস্তার পাশের ডোবাতে ড্রেজার বসানো হয়েছে-অতি শিঘ্রই তা চালুকরা হবে বলে জানা গেছে। যদুনন্দী ইউনিয়নের ৬ আনি খারদিয়া এলাকায় ৩ কিলো মিটার রাস্তায় ইট বসানোর কাজের ঠিকাদার “সাহেব সরোয়ার” স্থানীয় “ফায়েক মেম্বার” এর সাথে চুক্তিকরে খারদিয়া গ্রামের পাশদিয়ে বয়েযাওয়া কুমার নদী থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তায় ব্যবহার করছে। ফায়েক মেম্বার অন্যজনকে ড্রেজার মালিক সাজিয়ে দেদারছে এসব অবৈধভাবে বালি উত্তেলন করে যাচ্ছে।

ড্রেজার সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে জানাযায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারানাকি ওসব কাজ করছে, সূতারাং তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারবেনা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুবাদে অনেক উপর মহলে তাদের নাকি হাত আছে তবে কোন মহল বা প্রশাসন সে ব্যপাতে মুখ খুলতে নারাজ। কি আইন আছে জানতে চেয়েলিাম এসি ল্যান্ড সংশ্লিষ্ট একজনের কাছে-নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বললেন, ঠিকাদার সহ অন্যান্যরা প্রভাবশালী মহলের চত্রছায়ায় এসব করছে। উল্লেখ্য ঠিকাদারদের চুক্তি মোতাবেক ট্রাকেকরে বালি কিনে এনে রাস্তার কাছে ব্যবহারের কথা থাকলেও অধিক লাভ করতে ড্রেজার চুক্তিকরে নদীথেকে অবৈধভাবে বালি উত্তেলন করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাকছুদুল ইসলাম বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা গ্রহনকরা হবে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
ফরিদপুর বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে