মেজবা উদ্দিন,আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।
আক্কেলপুরের সর্ব্বত্র অবাধে ফসলী উর্বরা জমির উপরের মাটি বিক্রী চলছে। জমির মালিকরা সামান্য টাকার লোভে মটি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে এ সব ফসলী জমির উপরের উর্ব্বরা মাটি বিক্রী করে দিচ্ছে।
এ সব মাটি বিক্রীর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া সহ ফসলী জমির উর্ব্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। রাস্তা নির্ম্মান, বসতবাড়ির উর্চ্চতা, ইটভাটায় ইট তৈরীর কাজে এ সব মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর রেল স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে ও পাকা রাস্তার দু’ধারের ফসলী জমি এবং ডোবা থেকে গভীর করে মাটি কেটে জলাশয় তৈরীর ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসৃমে হুমকির মুখে রাস্তাটি ধসে পড়ার আশু সম্ভবনা। রাস্তাটি ধসে পড়লে এলাকাবাসি ও পথচারীরা বিপাকের মুখে পড়বে। এ ছাড়া একই ভাবে ওই ইউনিয়নের কোলা গুণপুর গ্রামে, গোপিনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া গ্রামে ও চিয়ারী গ্রাম এবং কালাঞ্জ গ্রামের মাঠ থেকে অবাধে ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা চলছে।
প্রতি বছর বিশেষ করে এ সময়টায় এক শ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ী গ্রামের সহজ সরল ও ক্ষতির বিষয় না জানা কৃষকদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলী জমির উপরের স্তরের ( সোয়েল প্রসোনের) উর্ব্বরা মাটি নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করে থাকেন। এ বছর কৃষকদের উৎপাদিত সকল ফসলে লোকসান হওয়ায় তাদের ঋণের বোঝা লাঘবের আশায় তাদের ফসলী জমির মাটি বিক্রীর প্রবণতা অনেকটায় বেড়ে গেছে। একাধিক মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জমির বিক্রিত মাটির দুরত্বের উপর নির্ভর করে মাটির দামের কমবেশি নির্ভর হয় বলে জানান।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর মাটি বিক্রী বা অপসারনের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া সহ জমির উর্বরা শক্তি কমে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত সহ জমির চরম ক্ষতি হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন এ ভাবে কৃষি জমির উপরের উর্বরা স্তরের মাটি বিক্রী করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’