২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

আক্কেলপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

  সমকালনিউজ২৪

মেজবা উদ্দিন, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শ্রেণি পরিবর্তন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুর খনন করার পরে তোলা মাটি ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ওই জমির মালিককে সর্তক করে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুকুর খনন কাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম হাবিবুল হাসান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতেই সারা বছরই কোন না কোন ফসলের আবাদ করেন কৃষকেরা। স্থানীয় কিছু মাটি ব্যবসায়ীদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তাদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় উপজেলার ইটভাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঠানধারা গ্রামের কৃষক মিঠু হোসেনের মাঠে ইরি বোর আবাদের ২২ শতক জমি রয়েছে। তিনি মাটি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে তার ওই জমিতে পুকুর খনন করে নিচ্ছেন। আর মাটি গুলো বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। মাঠের এসব পুকুরের পাড়ের কারনে স্বাভাবিক পানির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে পাশের জমিতেও পুকুর খনন করে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে আজ শনিবার দুপুরে পাঠান ধারা গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মিঠু হোসেনের ফসলি জমিতে মাটি খনন যন্ত্র (এক্সেভেটর) দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুরের মাটি ট্রাকে করে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। ওই কাজের দেখা শোনা করার জন্য তারেক হোসেন নামে এক সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানে গ্রাড়ি (ট্রাক্টর) প্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।

জমির মালিক মিঠু হোসেন বলেন, আমার ওই জমিতে তেমন ফসল হয় না। তাই জমিতে পুকুর খনন করছি। তবে আমি মাটি বাহিরে বিক্রি করিনি। আজ শনিবার দুপুরের পরে ইউএনও সার লোক পাঠিয়ে দিয়ে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
পাঠানধারা গ্রামের ৫-৭ জন কৃষক জানান, মাঠের বিভিন্ন জমি থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে পুকুর খনন করার বিনিময়ে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। একটি ফসলির জমির পাশে পুকুর খনন করা হলে কয়েক বছর পর ওই পুকুরের পাড় ভেঙে হুমকিতে পড়ে পাশের ফসলি জমি। ফলে বাধ্য হয়ে ওই কৃষকও পুকুর খনন করতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের গ্রামের মিঠু তার জমিতে পুকুর খনন করছিলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি তা বন্ধ করে দিয়েছেন।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
জয়পুরহাট বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে