
আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে ক্রাম খেলা নিয়ে সংঘর্ষে ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা মুমুর্ষ অবস্থায় আমতলী সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। শনিবার বেলা ৩ টার সময় কালু চৌকিদার বাড়ির দরজার সামনে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের কালু চৌকিদার বাড়ির দরজায় বসে শনিবার বেলা ৩ টার সময় অলিউল চৌকিদার, সগির মীর, জুবায়েদ মীর, ও আরাফাত মীর ক্রাম খেলছিল। ক্রাম খেলা নিয়ে অলিউল চৌকিদারের সাথে অন্য তিন জনের বাগবিতন্ডা হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে অলিউলা চৌকদারের দরজায় হলে বাড়ীতে খবর দেয়, তারা রামদা, দা ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে দা রামদা ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়।
আহতরা হল আমির হামজা মীর (৩৫), সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মীর (৪০), আলমাছ মীর (৫০), মালেক মীর (৫০), নাসির মীর (৬২), আলামিন মীর(৬২), শামীম মীর (৩৪) মস্তফা মীর, সাইফুল মীর,আরাফাত, মিলনমীর, মাসুদ মীর,(১৪),মজনু চৌকিদার, (৫০), মাহবুব চৌকিদার (৪০), হাসান চৌকিদার (২৫), ও এক দুই তিন নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হেনা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়। উভয় পক্ষের স্বজনরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের মধ্য ১০ জন কে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
হামলায় গুরুতর আহত শামীম মীর বলেন, অলিউল চৌকিদারের সাথে ক্রাম খেলা নিয়ে ছেলেদের সামান্য মারামারি হয়। এই অজুহাত তুলে কালু চৌকিদার বাড়ির ৮-১০ জন লোক মিলে তাদের বাড়ির দরজার সামনে ফেলে আমাদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে ১০ জনকে গুরুতর জখম করেছে। আমরা এঘটনার বিচার চাই।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার বলেন, আহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদেও বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।































