সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমলেও বরগুনার আমতলীতে এখনো পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারনে বিক্রেতারা এখনো বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
জানাগেছে গত ২ সপ্তাহ পূর্বে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ হওয়ার অজুহাতে সারাদেশের ন্যায় আমতলীতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি প্রতি ১২০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। গত ১ সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট দিয়ে জরিমানা করায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এর প্রভাব এখনো আমতলীতে পড়েনি।
সরকারীভাবে টিসিবি’র মাধ্যমে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ৪৫ টাকা করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেও আমতলীতে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০- ১০০ টাকা।
রবিবার আমতলী পৌরশহরের নতুন বাজার, পুরাতন বাজার ও একে স্কুল সংলগ্ন বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখাগেছে, এখনো তারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
এ ব্যাপারে কথা হয় নতুন বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, আমাদের পাইকারী বাজার থেকে এখনো পেঁয়াজ বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। তারা না কমালে আমরা কি করে পেঁয়াজের দাম কমাবো।
পুরাতন বাজারের মুদি মনোহরদি দোকান মালিক শ্যামল দাস জানান, তিনি এক কেজি পেঁয়াজ এখন ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। –
একে স্কুল সংলগ্ন কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী বজলুর রহমান হাওলাদার বলেন, শুনেছি সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমাদের তো পাইকারী আড়ৎ থেকে এখনো বেশী দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ১৮০ টাকায়।
অ’পরক্রেতা শাকিলা ইসলাম বলেন, সকলে বলে পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এসে দেখি দোকানদাররা পেঁয়াজ এখনো ৯০ ও ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।চাকুরীজীবী শহিদুল ইসলাম ও মোশারেফ হোসেন জানান, টিভি দেখে- পত্রিকা পড়ে দেখি সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমেছে।
ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যার প্রভাব আমতলীর বাজারগুলোতে পড়েনি। তারা অভিযোগ করে বলেন, আমতলীতে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা না থাকার কারনে বিক্রেতারা এখনো বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, এখনো যে সকল ব্যবসায়ীরা বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাদের বি’রুদ্ধে শীগ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’