সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে নতুন করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চার স্বতন্ত্র প্রার্থী। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
অনশনে বসা প্রার্থীরা হলেন— তাওহীদ তানজিম, শোয়েব মাহমুদ, অনিন্দ্য মণ্ডল ও মাইন উদ্দিন। এর মধ্যে তাওহীদ তানজিম ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বাকি তিন জনই হল সংসদের বিভিন্ন পদে প্রার্থী ছিলেন।
অনশনরত তাওহীদ তানজিম ঢাবি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের এই শিক্ষার্থী বলেন, আমি নির্বাচনে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনে জিততেই হবে, এমনটা কখনও চাইনি। চেয়েছিলাম যেন সুষ্ঠু একটি ভোট হয়।
ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণে নিজ হলেই বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে তানজিম বলেন, শহীদুল্লাহ হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। ভোটের লাইন দখলে নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা লুডো খেলেছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম, হয়তো তাদের মতো শক্তিমত্তা নেই। তাই দুর্বল প্রার্থী হিসেবে আমাকে টিজ করেছে, হয়রানি করেছে। এই পুরো বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে আহত করেছে। আমি কান্না পর্যন্ত করেছি। কোনোভাবেই মানতে পারিনি, এতদিন পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন শেষ পর্যন্ত এইরকম একটি প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হবে।
নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, এখন আমাদের দাবি, আমরা পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন করে ডাকসু নির্বাচন চাই। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে সব ভোটার তার নিজের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবে। নতুন করে নির্বাচন হোক, তাতে আমি না জিতলে, ভোট না পেলেও কোনো আফসোস নেই। সুষ্ঠু ভোট হোক, এটাই আমার চাওয়া।
তানজিমের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাকি তিন প্রার্থীও বলেন, তারা নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের জন্য পুনঃতফসিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। তাদের চাওয়া সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন কলঙ্কমুক্ত হোক।