ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় আম্পানের গতি কমে এলেও ভয় দেখাচ্ছে জলোচ্ছ্বাস। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উপকূলের সাগরদ্বীপ দিয়ে আম্পান আঘাত হানবে। বাংলাদেশে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সাতক্ষীরা জেলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়টি শক্তি হারিয়ে দেশে প্রবেশ করবে। সাতক্ষীরার পাশাপাশি খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়েও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলছে সাতক্ষীরা ও খুলনায়। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাতক্ষীরা ও ১০টা থেকে খুলনায় বৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই জেলায় বাড়ছে বাতাসের বেগ।
ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে তা বাড়তে থাকে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর এটি অতিক্রম করতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে।
বিকেলে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি. থেকে ২০০ কি. মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম্পানের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ও দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।