২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

আম্ফান : বরগুনায় দিনভর আকাশে কালোমেঘ

  সমকালনিউজ২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান বরগুনা ::

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বরগুনার আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। দিনভর তেজ দেখিয়েছে সূর্য। কিন্তু হঠাৎ করে পাল্টে যেতে থাকে বরগুনার দৃশ্যপট। বিকেল ৪টার পরপরই বরগুনার আকাশে দেখা দেয় কালো মেঘের ঘনঘটা। মেঘের আড়ালে চলে যায় সূর্য। হ্রাস পায় তাপমাত্রাও।

বরগুনা পৌরসভার কেজি স্কুল রোডের বাসিন্দা সৌরভ আহমেদ আশিক বলেন, আমাদের এখান থেকে বঙ্গোপসাগর খুব বেশী দূরে নয়। বড়জোর ৪০ কিলোমিটার হবে। সেই সাগরে যখন প্রলয়ংকারী একটি ঘূণিঝড় ঘুরপাক খাচ্ছে, তখনও দিনভর বরগুনার আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। ছিল দাবদাহও।

তিনি আরও বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বরগুনার আবহাওয়া পাল্টে যেতে থাকে। মেঘের আড়ালে চলে যায় সূর্য। হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। এক ধরনের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো বরগুনা জুড়ে।

এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী ও এর আশপাশ এলাকায় আজ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আজ মধ্যরাত থেকে পটুয়াখালী ও এর আশপাশ এলাকার আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। রাতেই শুরু হতে পারে বৃষ্টিপাত।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বরগুনা জেলা জুড়ে আমাদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই সাধারণ মানুষকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। বরগুনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। এছাড়াও এখনও শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই জেলার ছয়টি উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা এবং ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমরা সবাই মিলে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আম্ফান মোকাবেলা করতে পারব।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
বরগুনা বিভাগের আলোচিত
ওপরে