টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে ভ্যান যোগে বাড়ীতে বাড়ীতে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মাইকিং করে ফেরি করছেন নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে বিদ্যুত বিভাগ।
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সাথে সাথেই দেওয়া হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের মিটারসহ নতুন সংযোগ। যা এর আগে কেউ ভাবতেই পারেননি। আর প্রশংসানীয় এ কাজটি করছেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ এর ধনবাড়ী সাব-জোনাল অফিস।
ব্যাতীক্রমধর্মী এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে “আলোর ফেরিওয়ালা। বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ভ্যান গাড়ীতে মিটার, বিদ্যুতের তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে দু‘ তিনজন লাইনম্যান, একজন ওয়ারিং পরিদর্শক প্রতিদিন সকাল থেকে গ্রামে-গ্রামে ঘুরছেন আর মাইকিং করছেন। এ সময় কোন গ্রাহক বিদ্যুৎ নিতে চাইলে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছেন নতুন সংযোগ। নেই কোন হয়রানী, দিতে হবে না বাড়তি কোন অর্থ।
এ প্রকল্পের উদ্যোক্তা ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিত- ১ এর ধনবাড়ী সাব-জোনাল অফিসের উদ্যেগে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম ধনবাড়ী উপজেলার সব বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ না পৌঁছানো পর্যন্ত চলবে। শুরুর পর ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ আজ পর্যন্ত চার দিনে প্রায় ৫০টি নতুন সংযোগ দিয়েছে। এভাবে বিদ্যুত সংযোগ দিলে দালাল দৌরাত্ব থেকে রক্ষা পাবে বলছেন গ্রাহকরা ।
ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইাউনিয়নের বাজিতপুর গ্রারেমর বিদ্যুত গ্রাহক হাবিবুর রহমান, নূরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এরা জানান, বর্তমান সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি’র নির্দেশে ফেরি করে ভ্যান যোগে ৫ মিনিটেই বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ায় আমরা দালালের খপ্পর থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন আর বিদ্যুত সংযোগের জন্য দিনের পরন দিন ঘুরতে হয় না।
শতভাগ বিদ্যুত না হওয়া পর্যন্ত ধনবাড়ী উপজেলার সব বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলবে বলে জানান ধনবাড়ী পল্লী বিদ্যুত আফিসের এজিএম শাহিনুর রহমান।
দেশে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়ে গ্রাহকরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হন। একটা সংযোগের জন্য ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। খরচ করতে হয় বাড়তি অর্থ। যা মোটেও কাম্য নয়। কাজেই ধনবাড়ী-মধুপুর আসনের সংসদ মানানীয় কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দর রাজ্জাক এমপির নির্দেশে গ্রাহক হয়রানী কমাতে বিকল্প এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এটাকে তিনি “আলোর ফেরিওয়ালা, পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং” কার্যক্রম নাম দিয়েছেন।