২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জের প্রখ্যাত হোমিও ডাক্তার নারায়ণ চক্রবর্তীর... তাহেরপুরের তিনশত বছরের বৃক্ষের নাম আজো অজানা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের বিকল্প নেই : ইউএনও... প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসান সহ নিহিত-২ আহত-৩

আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ফসল রক্ষায় ১১টি কৃষি বিষয়ক পরামর্শ

 অনলাইন ডেস্ক সমকালনিউজ২৪

আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যালোচনা অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সমূহ আঘাত হানতে পারে আম্পান। সম্ভাব্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি ফসল রক্ষায় ১১টি কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এ পরামর্শ বাগেরহাট, বান্দরবান, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, গোপালগ্ঞ্জ, যশোর, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি, খুলনা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা ও শরীয়তপুর জেলার জন্য প্রযোজ্য।
রোববার (১৭ মে) কৃষি অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপরোক্ত ২৫টি জেলায় ১৯ থেকে ২১ মে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দণ্ডায়মান ফসলের ওপর ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাত প্রভাব ফেলতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য নিম্নোক্ত জরুরি আবহাওয়াবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হলো:

বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। একই সঙ্গে দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করা হবে। এসময়ে বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিতে হবে। নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।

এছাড়া খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে, আখের ঝাড় বেঁধে দিতে হবে, কলা ও অন্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে। পুকুরের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে যাতে ভারী বৃষ্টিপাতে পানিতে মাছ যেন ভেসে না যায়। গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে এবং মৎস্যজীবীদের সমুদ্র গমন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। এর অর্থ হলো সমুদ্রবন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত। সেই সঙ্গে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার বলে জানানো হয়।

মানবকণ্ঠ

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
সারাদেশ বিভাগের আলোচিত
ওপরে