কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কলারোয়ার জয়নগরে কামাররা। তবে কয়লার দাম বেশি হওয়ায় অন্যবারের চেয়ে এবারে দা-বঁটি, ছুরি ও চাপাতির দাম কিছুটা বেশি বলেও জানা গেছে। এখন থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়েছে তবে এখনও চলছে দিন-রাত টুং-টাং শব্দে কাজ।
আর মাত্র ৯ দিন বাদেই আসছে কোরবানির ঈদ। যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। সামনে আগুনরে শিখায়-তাপদেয়া, হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটিঁ, চাপাতি ও ছুরি। পশু কোরবানিতে এসব অতিব প্রয়োজনীয়।
নতুন তৈরির সঙ্গে শহর ও গ্রাম-গঞ্জে সবজায়গায় কামাররা সমান ব্যস্ত পুরোনো দা-বঁটি, ছুরি ও চাপাতিতে শাণ দিতে। আবার মোটর চালিত মেশিনে শান দেয়ার কাজও চলছে। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার দাম কিছুটা বেশি , বেশি দাম দিয়েও কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের এগুলো।
জয়নগরে বিভিন্ন এলাকার কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিদাতারা কোরবানির পশু কাঁটাছেড়া করার জন্যে পরিবারের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দা-বটি ও ছুরি শাণ দেয়ার জন্যে নিয়ে আসছে কামারদের কাছে। এর ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা। অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে।
জয়নগর বাজার সংলগ্ন কাত্তিক কর্মকার জানান, সাধারণত স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে দা-বটিঁ ও ছুরি তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
এছাড়াও জয়নগর বাজারে অবস্থিত কান্তি লাল কর্মকারের কাছ থেকে জানা গেছে বিভিন্ন লোহার তৈরী জিনিসের দাম লোহার মানভেদে স্প্রিং লোহা ৫০০ টাকা, নরমাল ৩০০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বঁটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।