২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত র‌্যাবের অভিযানে ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক

একাদশ নির্বাচনে ভোটারদের হৃদয় জয় করছেন বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ।

 অনলাইন ডেস্কঃ সমকালনিউজ২৪

ডা. সানসিলা জেবরিন, ডাক নাম প্রিয়াংকা। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২২ জুন। সে হিসেবে বয়স ২৫ বছরের কিছু বেশি। তিনিই একাদশ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী।

 

সম্ভবত ডা. সানসিলা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে যারা বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে সবার ছোট।

 

পেশায় চিকিৎসক সানসিলা প্রার্থী হয়েছেন শেরপুর-১ আসনে। তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে।

 

এ আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন হযরত আলী। তিনিসহ বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে সানসিলার। তিনিই এ আসনে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী।

 

সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।

 

শেরপুরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করতে চান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। সেই সঙ্গে তরুণ ও যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরির আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি।

 

ডা. প্রিয়াংকার প্রচারে স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

 

সারা দেশে ৩০০ আসনের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে কম ডা. সানসিলা জেবরিন শেরপুর-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চারবারের এমপি মো. আতিউর রহমান আতিক।

 

নবীন-প্রবীণের এ লড়াই ভালোই জমে উঠেছে শেরপুরে। পাড়া-মহল্লা থেকে অলিগলি সব জায়গাই একটিই আলোচনা-কে হচ্ছেন এ আসনের এমপি।

 

ডা. সানসিলা ইতিমধ্যে প্রচারে ভো্টারদের হৃদয় জয় করেছেন। রোজ ছুটে বেড়াচ্ছেন সংসদীয় এলাকার এদিন থেকে সেদিক।

 

বৃহস্পতিবার দিনভর তিনি সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন লছমনপুর ও চরমোচারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন।

 

মিষ্টভাষী ও তরুণ এ প্রার্থীকে সব বয়সী ভোটার সাদরে গ্রহণ করছেন। ভোট দেয়া প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

 

ডা. প্রিয়াংকা নির্বাচিত হতে শেরপুরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ এই এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গড়ে তুলবেন বলে প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন।

 

প্রিয়াংকার দৃষ্টিতে শেরপুরের অন্যতম সমস্যা বেকারত্ব। বেকারত্ব দূর করতে তিনি এ অঞ্চলে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন ভোটারদের।

 

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী প্রিয়াংকা। তিনি বলেন, রাজনীতিতে হারজিত থাকবেই। তবে নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তবে ধানের শীষের জয় হবেই।

 

সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

 

এই আসনে দীর্ঘ ২২ বছর পর দলীয় প্রার্থী পেলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি থেকে মো. নজরুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 

এর পর একই বছর ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নজরুল ইসলাম পুনরায় প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।

 

এর পর থেকে এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে এমপি হন আওয়ামী লীগের আতিক। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আতিককে সংসদের হুইপ করা হয়।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
ওপরে