আগামীকাল এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে এই দুই দলের মহারণ। তার আগে টি-২০ ফরম্যাটে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। দেখে নেয়া যাক সেগুলোর ফলাফল।
প্রথম ম্যাচ:
ভারত-বাংলাদেশ টি-২০তে প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ২৫ রানে জিতেছিল ভারত।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করেছিল টসজয়ী ভারত। এতে গৌতম গম্ভীরের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়াও যুবরাজ সিং ৪১ রান ও রোহিত শর্মা ৩৬ রান করেছিলেন।
বাংলাদেশের বোলার নাঈম ইসলাম পেয়েছিলেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন ও শাহাদত হোসাইন।
জবাবে ৮ উইকেটের বিনিময় ১৫৫ রান করে বাংলাদেশ। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৪১ রান ও নাঈম ইসলামের ২৮ রান উল্লেখযোগ্য স্কোর। ভারতের বোলার প্রজ্ঞান ওঝা সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান।
দ্বিতীয় ম্যাচ:
ভারতের বিপক্ষে টি-২০তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় লড়াই হয় ২০১৪ সালে। এটিও বিশ্বকাপের ম্যাচ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৮ উইকেটে জিতেছিল ধোনিরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের বিনিময় ১৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। এনামুল হক ৪৪ ও দলনেতা মুশফিকুর রহিম ২৪ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ভারতের বোলার অমিত মিশ্র তিনটি ও অশ্বিন দুটি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ৫৬ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে বিরাট কোহলি ৫৭ রান ও ধোনি ২২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন ও মাশরাফি উইকেট দুটি শিকার করেন।
তৃতীয় ম্যাচ:
ভারতের বিপক্ষে টি-২০তে বাংলাদেশের শেষ লড়াইটি হয় এবারের এশিয়া কাপে। সেই ম্যাচে ৪৫ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেটের বিনিময় ১৬৬ রান সংগ্রহ করে। রোহিত শর্মা একাই করেন ৮৩ রান। আর শেষ দিকে হার্ডিক পান্ডে ৩১ রান করেন।
বাংলাদেশের বোলার আল আমিন তিনটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি, সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমানের ৪৪ রানই বড় স্কোর। তাছাড়া মুশফিক ১৬ ও তাসকিন ১৫ রান করেন। আশিষ নেহরা তিনটি উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার।