রংপুর-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। অসুস্থতার কারণে তিনি একদিনের জন্যও প্রচারণায় যেতে পারেননি। এবার ভোটও দিতে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র।
নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর হাসপাতাল ও বাসায় আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন এরশাদ। এরপর ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ১৬ দিন পর ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে আসেন। অনেকে ভেবেছিলেন শেষ মুহূর্তে একদিনের জন্য হলেও প্রচারণার জন্য তাঁর রংপুরে যাবেন। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। এখন রংপুরে ভোট দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়েছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এপিএস মনজুরুল ইসলাম একটি জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘স্যারকে ডাক্তাররা পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সে কারণে তিনি ভোট দিতে রংপুর যাচ্ছেন না। সপ্তাহ দুয়েক পরে আবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন।’
এরশাদ রংপুর-৩ (সদর) আসনের ভোটার। তার রংপুরের বাসভবন ‘পল্লী নিবাস’ এলাকায় শিশুমঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়ে থাকেন।
ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রত্যেক নির্বাচনেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একাধিক আসনে নির্বাচন করে এসেছেন। প্রথম দিকে ৫টি করে আসনে নির্বাচন করতেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ৩টি আসনে ভোট করার সীমাবদ্ধতা করলে সেবার মহাজোট থেকে রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে ভোট করেন। এবারও দুটি আসন রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
নির্বাচনের ঠিক ৩ দিন পূর্বে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়ান এরশাদ। উন্মুক্ত এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্র নায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়েছেন। এরশাদের রেকর্ড হচ্ছে তিনি এখন পর্যন্ত কোনো আসনে পরাজিত হন নি। যখন যতটি আসনে ভোট করেছেন সবগুলোতে বিজয়ী হয়েছেন। যা তিনি গর্বের সঙ্গে বলে থাকেন।