ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় থাকা অবস্থাতেই নিউজিল্যান্ড সফরে ডাক পান সাব্বির রহমান রুম্মন। জাতীয় দলের এই প্লেয়ারকে অর্ন্তভুক্তির কারণ হিসাবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাশরাফির জোরাজুরিতেই তিনি দলে। অর্থাৎ টিম ম্যানেজম্যান্ট চাচ্ছিলেন না সাব্বিরকে স্কোয়াডে রাখতে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের একান্ত ইচ্ছাতেই তাকে দলে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
দল ঘোষণার দিন এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছিলেন, তার ব্যাপারে মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী। কারণ ৭ নম্বরে খেলার মতো এখনো নির্দিষ্ট একজনকে খুঁজে পাননি ক্যাপ্টেন। সে জন্য খুব করে সাব্বিরকে চেয়েছেন তিনি।
যদিও পরবর্তীতে নান্নুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা বক্তব্য দিতে দেখা যায় মাশরাফিকে। রংপুর রাইডার্সের সবশেষ ম্যাচের পর সাংবাদিকের তিনি বলেন, ‘সাব্বিরের ওপর আমি আস্থা দেখিয়েছি, এ কারণই তাকে নেয়া হয়েছে। তাহলে সাব্বির যে কদিন ছিল না, সে কদিন চলেনি?”
শুধু সাব্বিরের উপস্থিতিই নয় বরং তার নিষেধাজ্ঞা ওঠানো নিয়েও মাশরাফি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কমানো-বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি বোর্ডের। ওখানে আমার কিছু করার নেই। আর দায়ের কথা বলছেন? দায় এড়ানো তো পৃথিবীর সবচেয়ে সহজতম কাজ। এটি ঠিক কি না, ভেবে দেখা দরকার। এখন সাব্বিরকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে দায় যখন আমার ওপর এসেছে, আমি দায় নিলাম।”
আরও পড়ুনঃ ঐশ্বরিয়ার ওপর ‘বিরক্ত’ স্বামী ও ননদ!
সবশেষে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে তাতে দায়িত্বহীন হলে চলবে না। যেহেতু আমার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচক, আমি দায় নিতে রাজি। ঠিক আছে, ধরেই নিচ্ছি সাব্বিরকে আমার কথা অনুযায়ী দলে নেয়া হয়েছে। আমিই ওকে নির্বাচন করেছি। কারণ দায় তো কাউকে না কাউকে নিতে হবে। দায় এড়িয়ে কত দিন চলবেন?’