শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সুরাহা করতে আজ শুক্রবার বৈঠকে বসার কথা ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের আনুষ্ঠানিক কিছু না জানালেও জোটের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল সন্ধ্যায় জোটের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে একসঙ্গে বসার কথা।
তবে শেষ পর্যন্ত স্টিয়ারিং কমিটির ওই স্থগিত করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক কবে হবে সেটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভোটের অধিকার রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে জোট গঠন করেছি। এখানে আসন ছাড় বড় বিষয় না, আমাদের প্রয়োজন জয় নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
সূত্র জানায়, নির্বাচনে যারা জয়ী হয়ে আসতে পারবেন- কেবল তাদেরই ছাড় দিয়ে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল জোটের নেতাদের।
তবে এদিন বৈঠকে বসেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটি। শুক্রবার বিকেল রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের অফিসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠক চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সমন্বয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সারাদেশে জেলায় জেলায় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। এজন্য ইতিমধ্যে সারাদেশে জেলায় জেলায় চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত এসব কমিটিগুলো গঠন করা হবে। আর এই কমিটিগুলোতে ঐক্যফ্রন্টে যেসব দল রয়েছে, সেসব দলের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ২০ শতাংশও নিরপেক্ষ হতে পারেনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে ভোলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। অপরদিকে বিরোধী দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর লাশ পাওয়া যাচ্ছে এবং আদালত থেকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বুলু বলেন, আমরা আশা করবো, নির্বাচন কমিশন একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার পাবেন। শনিবারও ইশতেহার কমিটির বৈঠক আছে।
বৈঠক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মনিরুল হক চৌধুরীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।