কলাপাড়া হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, অন্যদিকে ডাক্তার বদলির হিড়িক চলছে। ২১ জন পদের মাত্র ৭ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছিল স্বাস্থ্যসেবা।
অথচ তারমধ্যে ডা: মাহবুবুর রহমান সজীব ও ডা: শংকর কুমার পাল এই দুই ডাক্তার বদলী হয়ে চলে গেছেন।
নতুন করে শুরু হয়েছে আরেকজন বদলি পালা। তিনি হলেন, কলাপাড়া হাসপাতালের প্রধান ডা: চিন্ময় হাওলদার। তার বদলি’র ব্যাপারে শুক্রবার নিশ্চিত হওয়া গেছে। এভাবেই একেরপর এক যদি সব ডাক্তার বদলি হয়ে যায়, তাহলে কিভাবে চলবে কলাপাড়া উপজেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা।
এমন প্রশ্ন এখন জনমনে দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের এক সূত্র বলেন, বিগত দিনে দেখেছি যে ডাক্তার রোগী দেখেন বেশি এবং হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ-খবর রাখেন সেই ডাক্তারই বদলি হয়।
যেমন ডা: মাহবুবুর রহমান সজীব ও ডা: শংকর কুমার পাল এই দুইজনের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল রোগীদের খুব যত্ন সহকারে রোগী দেখেন, রোগীর সংখ্যাও ছিলেন বেশি, অথচ ওই দুজনকে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এখন নতুন করে ডা: চিন্ময় হাওলদার কে বদলি করা হয়। সেও দুই-একদিনের মধ্যে চলে যাবে। অথচ তিনি মাত্র প্রায় ১৮ মাস হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। কলাপাড়া হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং রোগীদের যত্নসহকারে দেখেছেন তার জন্য রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিলেন। তার মত একজন ভালো ডাক্তার চলে যাবে এটি একটি কষ্টকর।
যেমন ডাক্তারদের হাসপাতাল মুখী করা, নষ্ট জেনেটার ঠিক করা, জেনারেটর রুম নির্মাণ করা, হাসপাতাল ভবনে রং করা, নতুন ফ্যান নির্মাণ করা, রোগী ধরা দালাল- ওষুধ প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সিসি ক্যামেরা নির্মাণ করা, হাসপাতাল পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ইত্যাদি করেছেন।
এছাড়াও হাসপাতালে প্রধানের কোয়ার্টার ছিল গরু’র ঘরের মত, সেই ঘরটি পরিষ্কার করে ওই কোয়ার্টারে রোগী দেখেন তিনি।
কোন ল্যাব-ক্লিনিক সহ বাইরে কোন রোগী দেখেন না, অফিসের টাইম ছাড়া তার কোয়ার্টার যত্নসহকারে রোগী দেখেন। অথচ এই ডাক্তারকে বদলি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বদলি অর্ডার এসেছে কলাপাড়া হাসপাতালে।
ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার সহ যারা বদলি হয়ে গেছে তাদেরকে ফের কর্মস্থানে বদলি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। এ ব্যাপারে ডা: চিন্ময় হাওলাদার বলেন, এত তাড়াতাড়ি বদলির অর্ডার আসবে, বুঝতে পারছি না।
কলাপাড়া হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে, ডাক্তার বাড়ানোর জন্য বারবার উচ্চপর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিভাবে এই অঞ্চলের মানুষের সেবা দেওয়া যায়, সেভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, অথচ আজকে অর্ডার আসলো বদলির। অবশ্যই তার মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র আছে।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।