রনি আকন্দ ,জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সজিনার গাছগুলোতে এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনাবাদি ও পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতিয় সবজি সজিনার ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে। তবে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার সজিনার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা।
সরেজমিনে ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ওই ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা অকৃষি বা পতিত জমিতে হাইব্রিড, বারোমাসি ও দেশী জাতের সজিনার চাষ হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে, বাসাবাড়ির আশে পাশে, পুকুর পাড়ে, ছাদে, স্কুল-কলেজ মাঠে এবং রাস্তার দুথপাশে অকৃষি বা পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতিয় সবজি সজিনার সারি সারি গাছগুলোতে এখন ফুলের শোভা পাচ্ছে। আর ওই সব ফুলের মৌ মৌ গন্ধে এলাকায় ভরে গেছে।
এর মধ্যে কোন কোন সজিনার গাছে গাছে ছোট ছোট সজিনা বের হচ্ছে। উপজেলাতে প্রতিবছরে সাজনা চাষ বেড়েই যাচ্ছে আর এখান কার সাজনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। তাছাড়া সজিনা বিক্রি করে অনেকেই অর্থিক ভাবে সচ্ছল হয়েছে। সজিনা চাষ ইতোমধ্যেই অর্থকরি ফসল হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, প্রাকৃতির কোন দুযোর্গ না হলে এবার সজিনা বাম্পার ফলন হবে বলে আশ করছেন এলাকার সজিনা চাষীরা।
কালাই পৌরসভার ধাপ মহল্লার সজিনা চাষী শাহ-আলম, বুলু ও আলিম জানান, তাদেও বাড়ীর সমনে পতিত জমিতে প্রায় ২০টি সজিনার গাছ আছে। গতবছরে ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ১২ মণ সজিনা পেয়েছিলেন। আশা করছেন,এবারও তাদের সজিনার বাম্পার ফলন পাবেন।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের মো. তানভীর হোসেন বলেন, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী। তাছাড়া সজিনার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়।
কালাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.আসাদুজ্জামান বলেন বলেন, সজিনা একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। এটি অনাবাদি ও পতিত জমিতে চাষ করা যায়। সজিনা চাষে পানির খরচ কম লাগে। এটি রোগ-বালাই নেই বললেই চলে এবং অন্যান্য খরচও তেমন নেই।
তবে, একটু পরিচর্যা করলেই অনেক ভালো ফলন পাওয়া যাবে।