জয়পুরহাটের কালাইয়ে গতবুধবার সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে এলাকার অধিকাংশ আলুর জমিতে পানি জমেছে। ফলে কৃষকরা মাঠ থেকে আলু বাড়ি নিয়ে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে। আবার আলুর জমিতে পানি জমে থাকার কারণে আলুতে পঁচন ধরতে পারে এমন শংকায় ভুগছেন কৃষকরা। এই ধরনের আবহাওয়া চলতে থাকলে আলুর ক্ষেতে আলুর ব্যাপক ক্ষতিসহ আলুর দামও কমতে পারে বলে এমনটাই ধারনা করছেন উপজেলার কৃষকরা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গত বুধবার থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ আলুর জমিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। কৃষকরা জমি থেকে আলু উঠানোর পর তা শুকানোর জন্য জমিতেই সারিবদ্ধ ভাবে রেখেছেন। শুকানোর পর কৃষকরা তাদের আলু মাঠ থেকে নিয়ে গিয়ে বেশী দামে বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পানি নামায় এবং জমিতে পানি জমে থাকায় তাদের সব আশা নিরাশ হয়ে গেছে। জমিতে পানি থাকা অবস্থায় তারা আপাতত জমি থেকে আলু থেকে উঠাতে পারছেনা। অপরদিকে কৃষকরা যদি মাঠ থেকে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে তাদের আলু উঠাতে না পারে তাহলে ইরি রোপনের সময়ও পেরিয়ে যাবে বলে তারা অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভ‚গছেন।
কালাই উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আলু চাষী আব্দুল খালেক, আকরাম, মোহাইল গ্রামের রাব্বি, অহেত ও মাত্রাই গ্রামের রঞ্জু তাং, হিরোসহ অনেকে জানান, তারা প্রত্যকে এই বছর ৬ থেকে ৯ বিঘা করে জমিতে আলু রোপন করেছেন। তারা জমি থেকে কিছু আলু উঠিয়ে তা বিক্রি করে ভালো দামও পেয়েছেন। তাদের বাঁকী আলু এখনও জমিতেই আছে। পানি জমে থাকার কারণে কৃষকরা আলু উঠিয়ে আনতে যাচ্ছে না। গত দু’দিন যাবৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে আলুর ক্ষেতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি জমে থাকার কারনে ইতোমধ্যে আলুতে পঁচন ধরার ও সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আরও বৃষ্টির পানি হয় তাহলে আলুর আশা ছেড়ে দিতে হবে বলে তারা জানান।
কালাই উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার ফারজানা হক বলেন, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে এবার প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আলুর বাম্পার ফলনসহ দামও ভাল রয়েছে। বৃষ্টির কারনে কিছু নিচু জমিতে অল্প পরিমান পানি জমেছে। আশা করি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে রোদে পানি শুকিয়ে যাবে এবং কৃষকরা তাদের আলু মাঠ থেকে ঘরে নিতে পারবেন। আলুর জমিতে বেশিদিন পানি জমে থাকলে আলুর ক্ষতি হতে পারে তবে ইরি রোপনের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না।