সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের মাথা উঁচু করলেন প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (৫০)। তিনি আমিরাতের রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন প্রায় বাংলাদেশি টাকার এক কোটি টাকা।
টাকার জন্য পৃথিবী জুড়ে যখন অন্যায়-অনিয়ম, অপরাধ এমনকি মানুষের জীবনের জন্য ক্ষতিকর কাজ করতেও পিছ পা হচ্ছে না মানুষ, তখন এই বাংলাদেশি গড়লেন অনন্য নজির। যাবতীয় লোভ-লালসাকে পাশ কাটিয়ে তিনি দেখালেন সততার প্রশংসনীয় এক উদাহরণ।
তিনি আমিরাতের রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন বিপুল পরিমাণে অর্থ যা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা) সমপরিমাণ। আর সেই বিপুল অর্থ তিনি ফেরত দিলেন এর মালিককে।
এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ধনাঢ্য মরুভূমির দেশে বাংলাদেশিদের মাথা উঁচু করলেন চট্টগ্রামের সন্তান প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (৫০)।
ইতোমধ্যে তার এই সততায় মুগ্ধ হয়ে আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সম্মানীত করে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১০ নভেম্বর আল আইনের আল-সালামাত রোডে একটি পলিথিনের ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। ব্যাগটি খুলে দেখি এর ভেতরে ১ হাজার দিরহামের অনেকগুলো বান্ডিল। সঙ্গেসঙ্গে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছা হলেও তা গুণে দেখিনি। গুণতে গিয়ে যদি মনে লোভ-লালসা চলে আসে সেই ভয়ে। দেরি না করে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানাই এবং তাদের কাছে ওই ব্যাগটি হস্তান্তর করি।’
এ ঘটনার পর ২২ নভেম্বর এমন নির্লোভী মোজাম্মেল হককে ‘সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন’ এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমিরাতের আল আইন পুলিশ সততার সম্মাননা সনদ ও অন্যান্য উপহার দেয়।
জানা গেছে, মোজাম্মেল হক চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১ নম্বর পুকুরিয়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের সিদ্দীক আহমেদের ছেলে।
তিনি আমিরাতের আল আইনে ২০ বছর যাবত ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন।