বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এক অসহায় দম্পতি। খেয়ে না খেয়ে কাটছে তাঁদের দিন। মাথার ওপরে ভাঙা ঝুপড়ি ঘর, নেই বিদ্যুৎ, নেই নিরাপদ পানি চলাফেরার শক্তিও হারিয়েছেন দুজনেই।
একসময় দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন আবুল কালাম। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খেটে চলতো জীবিকা। কিন্তু হঠাৎ স্ট্রোক করে অচল হয়ে পড়েন তিনি। অবশ হয়ে যায় ডান হাত-পা, হারান বাকশক্তিও।
অন্যদিকে স্ত্রী শেফালী বেগমও আক্রান্ত হয়েছেন প্যারালাইসিসে। ফলে এখন দুজনেই পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েছেন। জীবনের শেষ প্রহর কাটছে তাদের নিদারুণ দুর্দশায়।
চার ছেলে থাকলেও নেই কোনো খোঁজখবর। মেয়েরা বিয়ের পর চলে গেছেন নিজ সংসারে। তাই ভরসা শুধু প্রতিবেশীর দয়ার হাতেই।
ঝুপড়ি ঘরের চারপাশে ছেঁড়া টিন, ওপরে পলিথিনের আচ্ছাদন। নেই আসবাবপত্র, নেই বিদ্যুতের সংযোগ কিংবা টিউবওয়েল। বর্ষায় বৃষ্টির পানি ঢুকলে ভিজে কাদার ওপরেই রাত কাটাতে হয় তাদের।
আমরা স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারি না। সরকারি কোনো সাহায্য পাইনি। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। মানবিক সহায়তার প্রত্যাশায় দিন গুনছেন এই অসহায় দম্পতি। সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারি উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়লেই হয়তো তাঁদের জীবনে ফিরে আসবে নতুন আলো।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম জানান আপনাদের মাধ্যমে জানলাম এই অসহায় দম্পতি মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমি ইউএনওকে বলবো তাদের খোঁজ নিয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।