ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন বিনয়কাঠি ইউনিয়নস্থ সুগন্ধিয়া গ্রামের সাখওয়াত হোসেন খানের (সাগর) স্ত্রী শামসুন্নাহার( কল্পনা) (৩৮) শনিবার বিকেলে পরনের কাপড় খাবার রুমে আড়ার সাথে বেধে গলায় ফাঁস দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করার সংবাদ পাওয়া যায়।
এ বিষয় মৃত শামসুন্নাহারের ভাই ফয়সাল আহাম্মেদ রাজু ও ফারুক আহমেদ কাজল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শামসুন্নাহার আত্মহ’ত্যা করেনি শামসুন্নাহারের স্বামী সাখাওয়াত হোসেন খান সাগর ষড়যন্ত্র করে তাকে হ’ত্যা করেছে। আরো অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন খান সাগর প্রায়ই শামসুন্নাহারের কাছে যৌতুক দাবী করতেন আর সেটা না দিতে পারায় তাকে মারধর করতো তাকে মারধর করার কারনে আমরা তার সম্পতি তাকে বুঝিয়ে দিলে আমাদের বোন জামাই সাখাওয়াত হোসেন খান সাগর টাকার জন্য তার স্ত্রী আমাদের বোন শামসুন্নাহারকে মারধর করার মাধ্যমে শারীরিক নির্যা’তন করতো। কিছুদিন আগে আমার বোন তার ভাগের জমি বিক্রি করার জন্য বায়না করে বায়নাকৃত একলক্ষ টাকা আনে ঐ টাকা না পাওয়ায় আমাদের বোন জামাই পরিকল্পিত ভাবে এ হ’ত্যাকা’ন্ড ঘটিয়েছে। এ বিষয় মৃত শামসুন্নাহারের ২য় শ্রেনী পড়ুয়া ছোট্ট মেয়ে স্নেহা জানান, আমার আব্বু শুক্রবার রাতে আমার আম্মুকে মারধর করে সকালে বাড়ী চলে যায়।
এ বিষয় মৃত শামসুন্নাহের ভাই কাজল আরো জানান, গত ৮/৯ মাস আগে আমার বোনের জামাই দ্বিতীয় বিবাহ করে। দ্বিতীয় বিবাহ করার পরই আমার বোনকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না দিতে পারায় শামসুন্নাহরকে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যা’তন করতো। তিনিই এ হ’ত্যা কা’ন্ডের মূলহোতা বলে আমরা মনে করছি।
দ্বিতীয় বিয়ে করে তাই তার প্রথম পক্ষ স্ত্রীকে ষড়যন্ত্র ভাবে মেরে ফেলে দ্বিতীয় পক্ষ কে নিয়ে সংসার করার জন্য পথ ক্লিয়ার করেছে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন জানান, গতকাল আত্মহ’ত্যার বিষয়টি যেনে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই জেলা পুলিশ সুপার ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন। লা’শ ময়না তদন্তের জন্য শনিবার রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। এ বিষয় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি তবে পক্রিয়াধীন আছে।