রান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক কাটেনি এখনও। নতুন করে বিদ্যুতের তারে আগুনের ফুলকি (স্পার্ক) দেখে আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আতঙ্কে পড়ে যান স্থানীয়রা।
শনিবার সন্ধ্যায় আগুনের ফুলকি (স্পার্ক) দেখে আতঙ্কে মসজিদ থেকে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছেন সাত মুসল্লি।
স্থানীয়রা বলছে, এলাকাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। এসময় বিভিন্ন জায়গায় আগুনের স্পার্ক দেখে আতঙ্কে এখানকার একটি মসজিদের মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করেন। তখন তাদের মধ্য থেকে সাতজন আহত হন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে কাছে। সিসিটিভির ক্যামেরাটি নন্দ কুমার দত্ত লেন থেকে চুড়িহাট্টা মোড়ের দিকে মুখ করা শাহী মসজিদের পাশেই ছিল।
৩০ মিনিটের ওই ফুটেজে প্রতিদিনের মতো চুড়িহাট্টার সড়কে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। রাত ১০টা ৩২ মিনিট ২০ সেকেন্ডে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের সময় দুইটি গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণে হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনের দোতলা থেকে ইট এবং কিছু বোতল ছিটকে পড়তে দেখা যায়।
বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন দৌড়াতে থাকেন। আগুনের কুণ্ডসহ বিস্ফোরণ হয়ে বডি স্প্রের বোতল উড়ে আসতে থাকে।কেউ কেউ বলছেন, কেমিক্যাল থেকে আগুনের সূত্রপাত। আবার কেউ বলছেন, গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে এবং কেমিক্যালের কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) বলেন, ‘২-১ দিন পর আগুনের সূত্রপাত প্রমাণসহ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।’
বুধবার দিনগত রাতে ওয়াহেদ ম্যানশনে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর মধ্যেই ঝড়ে যায় ৬৭ তাজা প্রাণ।
আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৪১ জন। তাদের মধ্যে দুইজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।