যিনি শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সবাইকে বিনে পয়সায় বই দিয়ে জীবনের আলো দেখাতেন, সেই আলোর ফেরিওয়ালা আজ চলে গেলেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার চলে গেলেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের নিজ বাড়িতে একুশে পদকপ্রাপ্ত ৯৮ বছর বয়সী মানুষটি ইন্তেকাল করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্য হয়েছে বলে জানান তার ছেলে হায়দার আলী।
পলান সরকার বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছোট-বড় সবার দোরগোড়ায় বই হাতে পৌঁছে দিতেন। এলাকায় মানুষের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন। নিজের টাকায় বই কিনে পাঠকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে, আবার তা ফিরিয়ে নিতেন। দিতেন নতুন আরো একটি বই। এই বই পড়ার একটি আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পলান সরকার ২০১১ সালে একুশে পদক পান।
সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সংবর্ধনা দেয় এবং গ্রামে পলান সরকার নামক পাঠাগার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা দেন। তাকে নিয়ে ‘সায়াহ্নে সূর্যোদয়’ নামে একটি নাটক তৈরি হয়েছে।