২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বসতঘরসহ গাছপাল লন্ডভন্ড, আহত ১৪

 নজরুল ইসলাম,চাঁদপুর, সমকালনিউজ২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণীর’ প্রভাবে চাঁদপুরে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চল ও মতলব উত্তরের চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বসতঘর ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার ৪ মে আনুমানিক ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার রাজ-রাজেশ্বর ইউনিয়নের শিলারচর, খাসকান্দি, মান্দেরবাজার গ্রামে প্রচন্ড গতি বেগে ঝড়ো হাওয়া বওয়ায় বসত বাড়ি গুলো ভেঙে পড়ে ও গাছপালা লন্ড ভন্ড হয়ে যায়।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর গ্রামের ৪টি অংশে ও মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শনিবার ভোর সাড়ে তিনটায় ২ থেকে ৩ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে বোরচরে ৪০ ও বাহেরচওে ৩১ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। মূলসহ গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ১২ জন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মতলবে বাতাসসহ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিন ভোর ৩টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, বিষয়টি আমি নিশ্চিত হওয়ার পর সাথে সাথে সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার কচুয়া উপজেলায় ফণীর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতিতে পড়তে হয় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভোর আনুমানিক চারটার সময় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বাতাসের গতি।

কচুয়া উপজেলার স্থানীয় ইউপি শাহারিয়ার শাহিন এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাভে এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।

তিনি জানান পাড়াগাঁও গ্রামে বাবা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝর ফণী মোকাবলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন উপজেলা প্রায় পাঁচ হাজার চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা মাউকিং করে জনসচেতন করতে দেখা যায় এবং নদীর তীরবর্ত্তী লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা মাইকের মাধ্যমে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা। ঘূর্ণিঝর ফণী মোকাবলায় ব্যাপক প্রস্তুথি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসন। জেলা আটটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা ও উপজেলার প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং ত্রাণ বিভাগের সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিল এবং কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা করেন।

জেলায় ৩১১টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল প্রাথমিক মাধ্যমিক কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনসহ ১৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র রাখা হয়েছে। ১১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
চাঁদপুর বিভাগের সর্বশেষ
চাঁদপুর বিভাগের আলোচিত
ওপরে