রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাট জাগ দেওয়া ও পাটের আঁশ ছাড়ানো শুরু হয়েছে।কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং বড়াল নদীতে পানি থাকায় সময়মতো পাট কেটে জাগ দিতে পারছেন স্থানীয় কৃষকরা।
তবে শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই নারীদের দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে নেন। তবে এক্ষেত্রে নারীরা নগদ মূল্য না নিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পাটখড়ি নিয়ে থাকেন।
চলতি মৌসুমে অনেকে নারাই নিজেদের জমির পাটের আঁশ ছাড়ানোর পাশাপাশি অন্যের পাটের আঁশ ছাড়িয়ে পাটখড়ি নিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও খাল-বিলের ধারে নারীদের পাটের আঁশ ছাড়ানোর দৃশ্যের দেখা মেলে।
কথা বলে জানা যায়, এদের অনেকেই এসব পাটখড়ি আঁটি হিসেবে বিক্রি করেন। আবার অন্যেকে রান্নার জ্বালানি ও বাড়ির বেড়া, চালাসহ গৃহস্থালির কাজের জন্য সংরক্ষণ করে রাখেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে শলুয়া বালুদিয়াড় গ্রামে রাস্তার পাশে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছিলেন করিমন বেগম (৫৫) ও কয়েক নারী। তিনি জানান, তারা আঁশ ছাড়ানোর বিনিমিয়ে পাটখড়ি নেন।
পরানপুরের মসলেমা আক্তার জানান, রান্না ও অন্যান্য কাজ শেষ করে তারা সময় পেলে এ কাজ করেন। জ্বালানি হিসেবে পাটখড়ির চাহিদা প্রচুর। দামও ভালো। বর্তমানে ১০০ আঁটি পাটখড়ির মূল্য প্রায় হাজার টাকা।
তিনি জানান, অনেকেই সংসারে বাড়তি আয়ের আশায় সুযোগমতো এ কাজ করছেন। আবার স্বচ্ছল পরিবারের নারীরাও অলস সময়ে এ কাজ করছেন।
চারঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনজুর রহমান জানান, গতবারের তুলনায় এবার উপজেলায় পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। এবার ১ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।যা গতবারের চেয়ে ২৩৫ হেক্টর বেশি। ভালো ফলন হওয়ায় ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। বর্তমানে ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা দরে মণপ্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।