রাজশাহীর চারঘাটে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা প্রকল্প ইন্টারফেসিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জিয়াউল হক মাসুম চেয়্যারম্যানের সভাপতিত্বে বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সামজিক রীতি নীতি ও আচরণ পরিবর্তনে পুরুষ এবং ছেলেদের সম্পৃক্তকরন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষন প্রদানের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সচেতন থাকার আহব্বান জানান,এসিডির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মোস্তফা কামাল।
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের আওতায় ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় এবং এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিডির আয়োজনে শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে এই ইন্টারফেসিং সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শলুয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম।
এই সভাতে বাল্যবিবাহকে মুল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রজেক্ট অফিসার রাশিদা পারভিন বলেন, আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। একটা সময় ছিল যখন মানুষ বিয়ের বয়স নিয়ে ভাবত না। এখন সবার মধ্যে সচেতনতা এসেছে।
স্থানীয় প্রশাসন, গ্রামের মানুষ এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে কিছু প্রশ্ন এসেছে। তবে আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না।
মোঃ মোস্তফা কামাল আরো বলেন,বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিধিমালার বিষয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আইন ও বিধিমালার সঙ্গে আরও অনেক কাজ আছে। প্রত্যেক মেয়ের জন্য জীবন দক্ষতামূলক শিক্ষা জরুরি। এ শিক্ষার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীরা নিজেরা সচেতন হবে। তারা নিজেরা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারবে।
তাদের বিয়ে দিতে চাইলে তারা নিজেরাই প্রতিবাদ করতে পারবে। তারা বলতে পারবে, বিয়ে ছাড়া আমরা অনেক কিছু করতে চাই।
অনুষ্ঠিত এই ইন্টারফেসিং সভাতে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসিডির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রজেক্ট অফিসার রশিদা পারভিন, একাউন্ট অফিসার সাইনুল আলম, প্রজেক্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।