গৃহবধু সোনারানী (৫৬) হাতের তৈরি নকশী কাঁথায় বাংলাদেশের মধ্যে সেরা অন্যন্যা নির্বাচিত হয়েছেন। সোনারানী চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সাইতাড়া গ্রামের (বানিয়াপাড়া) ননী গোপালের স্ত্রী।
সোনারানী তার মা প্রয়াত চারুবালার হাতে দীক্ষা নিয়ে প্রথমে নিজ বাড়িতেই নকশী কাঁথার কাজ শুরু করেন। এনজিও সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের গাছ লাগানো প্রকল্পের কর্মকর্তা তুষার ইসলামের কাছে সোনারানীর নকশী কাঁথার কাজ চোখে পড়লে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেন। একপর্যায়ে কেয়ার বাংলাদেশের রংপুরের বিভাগীয় কর্মকর্তা মিস্টার মিশাইলের সহযোগিতায় আমেরিকা, নিউইর্য়ক, লসএঞ্জেলস্সহ বিভিন্ন স্থানে নকশী কাঁথার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন।
সোনারানী চলতি বছর অন্যান্যা পত্রিকা কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের মধ্যে সেরা অন্যান্যা-২০১৯ নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়-সোনারানী ২০১৫ সালে কেয়ার কর্তৃক বিশেষ সন্মাননা স্মারক পুরস্কার লাভ করেন। সোনারানীর এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। সোনারানী তার এ কাজের ব্যাপারে স্বামী ননী গোপাল রায়ের সম্পূর্ণ সহযাগিতা পেয়েছেন।
তিনি জানান, আর্থিক সুবিধা পেলে নকশী কাঁথাকে একটি শিল্প হিসাবে গড়ে তুলবেন। অত্রাঞ্চলের কুমারী মেয়েদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
তিনি আরো জানান, একটি নকশী কাঁথা বর্তমানে দেশীয় মুল্যে ৩ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ঢাকার নিউমার্কেট, গুলিস্থানসহ বিভিন্ন মার্কেটের দোকানীরা প্রতিমাসে এ নকশী কাঁথা নিয়ে যান।