বানারীপাড়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত জন কল্যান সংস্থা নামের একটি এনজিও প্রতারণা করে ৭দিনের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনজিওটির রেজিঃনং-১২৪/১৯৯০,এনজিও ব্যুরো নং-৭৮/২০১৪। এদের প্রতিপাদ্যছিলো ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্প প্রকল্প। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংস্থাটির মোট ৮ জন কর্মকর্তা এদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ ছিলো।
তারা উপজেলার ব্রা²ণকাঠি,কাজলা,বাইশারী,বাংলাবাজার,জম্বদ্বীপ,ইলুহার,চাখার,শাখারিয়া,আহম্মদাবাদ বেতাল, মহিষাপোতা, নরত্তোমপুর,চৌয়ারীপাড়া,বোর্ডস্কুল,গাভা সহ প্রায় ১৫/২০ টি গ্রাম থেকে ১৫০/৬০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকায় ৫০ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জমা নিয়ে ১ লাখ টাকা দেবার লোভনীয় প্রািতশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে। আবার কারো কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা জমা নিয়ে ৫ লাখ লাটা দেবারও প্রতিশ্রুতি দেয় ওই প্রতারক চক্র। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা জমা নিয়ে ৭দিন পরে প্রত্যেক গ্রাহকের জমার উপরে লোন দেবার কথা ছিলো তাদের। ৭ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতির প্রায় ৭০জন গ্রাহককে লোন দেবার কথা ছিলো এই এনজিওটির। আবার ১০ফেব্রুয়ারি রবিবার বাকি গ্রাহকদের লোন দেবার কথা ছিলো তাদের। বৃহস্পতিবার গ্রাহকরা উপজেলার রায়েরহাট এলাকার মোশারেফ তালুকদারের সৈকত মঞ্জিলের জন কল্যান সংস্থাটির অফিসে গেলে মেইন দড়জায় তালা ঝুলতে দেখে, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেন কর্মকর্তাদের জন্য। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবার পরে তারা অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তাদের ব্যবহ্নত মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধপান। তারপরেই গ্রাহকরা তাদের সাথে প্রতারণা করা বিষয়টি বুঝতে পেরে সংবাদকর্মীদের দারস্থ হন।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান বানারীপাড়া উপজেলায় এনজিও সমন্বয় পরিষদের শক্তিশালী একটি কমিটি রয়েছে তার সভাপতি মোস্তফা সরদার বলেন তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেননা। তারা সাধারণ সম্পাদক এস মিজানুল ইসলামের কাছে এনজিওটির প্রত্যারণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশাসনের কাছে বিষটি অবগত করতে বলেন। তবে পেরৈ শহরের হাইওয়ে সড়কের পাশে এক সপ্তাহ পর্যন্ত এনজিও সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার কোন খোঁজ রাখেননি উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদ এটা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের পাশে যে বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওই প্রতারক এনজিওটি উঠেছিলো তার মালিক মোশারেফ হোসেন জানান, তিনি তাদের সম্পর্কে কিছু না যেনেই ভাড়া দিয়েছিলেন। তবে এনজিওটির উবর্ধতণ কর্মকর্তারা আসলে তাদের সাথে ভাড়া চুক্তি হবে।
উপজেলাএনজিও পরিষদের সভাপতি মোস্তফা সরদার জানান, জন কল্যান সংস্থা নামক কোন এনজিও তাদের সমন্বয় পরিষদের তালিকায় নেই।