বগুড়ার শেরপুর উপজেলার তিনমাথা নামক স্থানে আপন মেয়ে জামাই শ্বশুর আসাদুল ইসলাম (৫০) কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নি’হত আসাদুল ইসলাম উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পার ভবানীপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ নি’হতের লা’শ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে
জানা যায়, শ্বশুর আসাদুল ইসলাম ও জামাই সাব্বিরের বাড়ী পার ভবানীপুর গ্রামে। সাব্বিরের বাবার নাম শাহিন আকন্দ। একই গ্রামে বাড়ী হওয়ায় সাব্বিরের সাথে নি’হত আসাদুলের মেয়ে শিমুর প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে গত বছর সাব্বির শিমুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু সাব্বির বখাটে হওয়ায় আসাদুল জামাই হিসেবে তাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর বেশ কয়েক দফা গ্রাম্য শালিসের পর গত ৫/৬ মাস আগে তাকে মেনে নেয়।
আসাদুল জামাই হিসাবে ও বিয়ে মেনে নেয়ার পর থেকেই সাব্বির তার শ্বশুরের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলো। এনিয়ে জামাই-শ্বশুরের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় আসাদুল বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথ অত্র এলাকার তিনমাথা নামক স্থানে পৌছলে সাব্বির তার শ্বশুরের পথরোধ করে টাকা দাবি করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় সাব্বির তার কাছে থাকা ছু’রি দিয়ে শ্বশুরের বুকে ছু’রিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক-কে বলেন, নি’হতের লা’শ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
অপরদিকে জামাই সাব্বিরকে গ্রে’ফতার অভিযান অব্যহত আছে এবং মা’মলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।