নিশাত আনজুমান,জয়পুরহাট প্রতিনিধি ::
আক্কেলপুর উপজেলার কানুপুরে কৃষক সাইফুল ইসলাম মাত্র ৪ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত নতুন জাত ব্রি ৮১ ধান। তিনি বলছেন, বিঘাপ্রতি ৩০ মন ধান উঠেছে তার।
আরেকদিকে কাজললতা ধান লাগিয়েছেন কৃষক রেজাজুল ইসলাম। তিনিও বিঘাপ্রতি পেয়েছেন ২৩ মন ধান।
এই দুই কৃষকের মতো বোরো মৌসুমে নতুন এই জাত দুটির ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পাওয়ার দাবি করেছেন আরো অনেক কৃষক। ফলে তাদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে রাজ্যের হাসি।
কৃষি অফিস জানায়, এবার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের গোবরপুর ও কানুপুর ব্লকে কাজল লতা ও ব্রি ৮১ ধানের চাষ হয়েছিল। অধিকাংশ কৃষকই এতে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।
মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার কৃষি হবে দুর্বার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরজমিনে উপস্থিত থেকে কৃষকদের ধান কাটার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জয়পুরহাটের উপ-পরিচালক স.ম. মিফতাহুল বারী, বগুড়া অঞ্চল কার্যালয়ের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন আহমেদ ও আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কৃষকরা জানান, ধান চাষে যে কোনো প্রয়োজনে আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও উপসহকারী মো: রুবেল হোসেন সঠিক পরামর্শে পাশাপশি তাদের নিয়মিত সহযোগিতা করেছেন। ফলে সব পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করা গেছে। এ কারণেই কাজললতা এবং ব্রি ৮১ ধানে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন বলে জানান তারা।
কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আগামীতেও আরো বেশি করে এই ধান রোপন করার কথাও জানান কৃষকরা।