‘বাবারে ঠাণ্ডার মধ্যে বড়ই কষ্ট আছি । ঠাণ্ডার জ্বালায় সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারি না। ভাঙা জানালা দিয়ে শির শির করে আসা বাতাসে গোটা গাও বরফ হয়ে যায়। কম্বলটা দিয়া মোক বাঁচালিন বাবা। খায়া থাকো আর না খায়া থাকো চোখের পাতাটাতো এক করা পারমু’।
জয়পুরহাট পৌর এলাকার মেয়রের দেওয়া কম্বল হাতে পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন জয়পুরহাট পৌরসভার খনজনপুর এলাকার অশীতিপর বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া।
কম্বল পেয়ে খুশি হয়ে আদর্শ পাড়া গ্রামের দরিদ্র নারী আকলিমা বেগম বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ বাবা। হামাগেরে এই বিপদে পৌর মেয়র মোস্তাক বাবা কম্বল দিয়ে সাহায্য করলো। আল্লাহ যেন তার ভালো করে সুখে শান্তিতে থাকে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে পৌর এলাকার খনজনপুর, তাঁতী পাড়া, আদর্শ পাড়া, শান্তি নগর,পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে পাঁচ হাজার কম্বল, ১০০০ হাজার শিশুদের শীতের গরম কাপড় বিতরণ করেন ।জয়পুরহাট পৌর সভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
পৌর মেয়র মোস্তাক বলেন, ‘আমার সাধ্যমত শীতবস্ত্র দিয়ে অসহায় মানুষগুলোর শীত নিবারণের চেষ্টা করছি মাত্র। সমাজের বিত্তবানরা যে যার অবস্থান থেকে এইসব হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালে দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোঁটানো সম্ভব।’