ইফতেখার শাহীন,বরগুনাঃ
পরিপাটি এ ড্রাগন ফলের বাগানটি গড়ে তুলেছেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার উত্তর হাতেমপুর গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি আসাদুজ্জামান রাসেল।
২০১৭ সালে পাথরঘাটা যুব উন্নয়ন থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০ শতক জমিতে ৩০ টি ড্রাগন চারা লাগিয়ে তার যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি বিভাগের এসএসিপি প্রকল্প থেকে ২০ টি পিলার ও ১’শ ড্রাগন চারা সরবরাহ এবং কৃষি অফিসার শিশির কুমার বড়াল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ড্রাগন ফল চাষের কলাকৌশল, পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন। বর্তমানে ৮০ শতাংশ জমিতে এ যাবৎ ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ড্রাগন ফল ও ৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছেন রাসেল। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ড্রাগন চাষিদের জন্য তিনি ফল ও চারা সরবরাহ করছেন। এই ড্রাগন চাষে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজ উপজেলায় ড্রাগন চাষের মধ্য দিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন রাসেল।
রাসেলের ক্ষেতের এক একটি ড্রাগন ফল ৭০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়। বছরে কতবার ফল পাওয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, শীত মওসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে।
সফল এ ড্রাগন চাষি জানান, তার দেখাদেখি পার্শ্ববর্তী এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মাসে এখন সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন।তিনি আরও বলেন, আমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই ড্রাগনের বাগান করেছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, অন্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। পুষ্টিগুণ আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাথরঘাটায় রাসেলের মতো নিজ উদ্যোগে এবং কৃষি বিভাগের সহায়তায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন বলে জানান, এই কর্মকর্তা।